ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনো অনেক সময় বাকি। আগামী অক্টোবর এবং নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই টুর্নামেন্ট। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।
কেমন হতে পারে বাংলাদেশের বিশ্বকাপের দল। শেষ পর্যন্ত ভারতের ভিসা পাচ্ছেন কোন ১৫ জন ক্রিকেটার। আসুন সে বিষয়ে আলোচনা করা যাক। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দলের সুযোগ পাবেন ১৫ জন ক্রিকেটার। স্টার্ন-বাই হিসাবে দুইজন অথবা তিনজন ক্রিকেটারকে রাখতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলে থাকবেন সাত জন জেনুইন ব্যাটসম্যান দুইজন অলরাউন্ডার একজন স্পিনার এবং পাঁচজন ফার্স্ট বোলার। মূলত আগামী মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজের পরেই চূড়ান্ত হবে বাংলাদেশের দলের বিশ্বকাপ দল।
বিশ্বকাপের দলে সাত জেনুইন ব্যাটসম্যান মধ্যে পাঁচ জন ইতিমধ্যেই এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গেছে।
অধিনায়ক তামিম ইকবাল তার সাথে লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুশফিকুর রহিম…. এই চারজন ব্যাটসম্যানের বিশ্বকাপ দল নিশ্চিত।
মিডিল ওর্ডারে এই মুহূর্তে ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন তাওহীদ হৃদয়। তরুণ এই ব্যাটসম্যানের বিশ্বকাপের দলে থাকাও এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গেছে। এই পাঁচজন শুধু বিশ্বকাপে দলেই থাকবে না বরং বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচের একাদশ ও বিবেচনায় থাকবেন। চূড়ান্ত দলে টপ অর্ডারে বিকল্প হিসাবে থাকবেন একজন ওপেনার। এবং ৭ অথবা ৮ নম্বর ব্যাটিং পজিশনের জন্য থাকবেন আরো একজন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান।
প্রথমে আসি টপ অর্ডারে বিবেচনায় থাকবেন কে। এই জায়গায় বিবেচনায় আছেন বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান। প্রথম নামটি রনি তালুকদার। সর্বশেষ আয়ারল্যান্ড সফরে দলের সাথে ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় নামটি নাঈম শেখ। সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৭১ গড়ে একটি সেঞ্চুরি এবং ১০ টি হাফ সেঞ্চুরিতে করেছেন ৯৩২ রান।
আর তৃতীয় নামটি এনামুল হক বিজয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এবারও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন তিনি। ৬০ গড়ে তিনটি সেঞ্চুরি এবং তিনটি হাফ সেঞ্চুরিতে ৮৩৪ রান করেছেন বিজয়।
বিশ্বকাপের দলে আসল যুদ্ধ হবে সাত নম্বর ব্যাটিং পজিশন নিয়ে। বিশ্বকাপের দল নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে এই একটি জায়গায় নিয়েই। যেখানে বর্তমানে দলের সাথে রয়েছেন ইয়াসির আলী রাব্বি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন এবং কাজী নুরুল হাসান সোহান।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে কিন্তু এই তিন ব্যাটসম্যান ই ভালো খেলেছেন। ডিপিএলে ১৩ ইনিংসে আফিফ করেছেন ৫৫০ রান, নুরুল হাসান সোহান ১৪ ইনিংসে করেছেন ৫১১ রান ও মাহমুদুল্লাহ ১৫ ইনিংসে করেছেন ৫১০ রান।
এই জায়গাটাই আসলে এমন কাউকে নেয়া হবে যিনি ম্যাচে বল হাতেও অবদান রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে আফিফ হোসেন এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দলে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
এরপর আসি অলরাউন্ডার ক্যাটাগরিতে। এই দুটি পজিশনে সাকিব আল হাসান এর সাথে মেহেদী হাসান মিরাজের থাকা একশতভাগ নিশ্চিত। আপাতত এই জায়গায় এই দুজনের কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।
তবে দলে একজন বাড়তি স্পিনার কে হবে তা কিন্তু এখনো নিশ্চিত না। বর্তমানে দলের সাথে রয়েছেন তাইজুল ইসলাম। এছাড়াও এই জায়গায় প্রতিদ্বন্দ্ব হিসেবে রয়েছেন নাসুম আহমেদ এবং তানভীর ইসলাম। তবে তাইজুল ইসলামের থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
বাকি রইল পাঁচজন ফাস্ট বোলার। যেখানে এই মুহূর্তে তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ এবং ইবাদত হোসেনের থাকা এক প্রকার নিশ্চিত। বাকি একটি জায়গায় থাকতে পারে চমক। যেখানে শরিফুল ইসলামের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে রয়েছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। শেষ পর্যন্ত যদি কোন ইনজুরি অথবা অন্য কোন সমস্যা না থাকে তাহলে এদের মধ্য থেকেই চূড়ান্ত হবে বিশ্বকাপে ১৫ সদস্য দল।