বিপিএলের পর প্রেসিডেন্ট কাপেও সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহক রুবেল হোসেন। দেখে নিন তালিকা

গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হয়েছিলেন রুবেল হোসেন। নয় মাস পর আবারও মাঠে ফিরে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হয়েছেন তিনি। গতকাল শেষ হয়েছে বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপ ওয়ানডে সিরিজ। সেখানে নাজমুল একাদশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাহমুদুল্লাহ একাদশ।

মাহমুদুল্লাহ একাদশের অন্যতম হাতিয়ার ছিলেন ফাস্ট বোলর রুবেল হোসেন। এই টুর্নামেন্টে জুড়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তিনি। আর সেই কারণেই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকের তালিকায় মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন এর সাথে যৌথভাবে উপরে রয়েছেন তিনি। বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপ ওয়ানডে সিরিজের পুরো টুর্ণামেন্টে জুড়েই আধিপত্য বিস্তার করেছে বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার।

প্রতিটি ম্যাচেই নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ফাস্ট বোলার। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান সহ প্রায় সকল ফাস্ট বোলার। আসুন দেখে নেই বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপ ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকের তালিকা।

১। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন : এবারের টুনামেন্টে সবচেয়ে শক্তিশালী দল ছিল তামিম একাদশ। কিন্তু তারাই শেষ পর্যন্ত ফাইনালে যেতে পারিনি। মূলত ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণেই ফাইনাল খেলতে পারেনি তামিম একাদশ।

তবে বল হাতে দুর্দান্ত করেছে তামিম একাদশের ২ ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন এবং মুস্তাফিজুর রহমান। তাই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের নাম। ৪ ইনিংসে ৩.৯৭ ইকোনমিক রেটে ১২ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। সেরা বোলিং ফিগার ২৬ রানে ৫ উইকেট।

২। রুবেল হোসেন : তালিকার দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছেন রুবেল হোসেন। মাহমুদুল্লাহ একাদশের এই ফাস্ট বোলার এই টুর্নামেন্টের দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা বোলার। ৫ ইনিংসে ৪.০২ ইকোনমিক রেটে ১২ উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন। সেরা বোলিং ফিগার ৩৪ রানে ৪ উইকেট।





৩। সুমন খান : বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপের ফাইনালে নাজমুল একাদশের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সুমন খান। বাংলাদেশ ঘরোয়া ক্রিকেট লিগের নিয়মিত এই ক্রিকেটার ফাইনালে তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট।

টুর্ণামেন্টে মোট তিন ম্যাচে বোলিং করার সুযোগ পেয়েছেন সুমন খান। ৩ ইনিংসে ৫.০৪ ইকোনমিক রেটে ৯ উইকেট নিয়েছেন সুমন খান। সেরা বোলিং ফিগার ৩৮ রানে ৫ উইকেট।

৪। মুস্তাফিজুর রহমান : নিজের পুরনো বোলিংকে যেনো নতুনরূপে ফিরে পেয়েছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। এই টুর্নামেন্টের অনেক ধারাবাহিক ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ইনিংসে ৩.৫৭ ইকোনমিক রেটে ৮ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। সেরা বোলিং ফিগার ১৫ রানে ৩ উইকেট।

৫। আল-আমিন হোসেন : নাজমুল একাদশের অন্যতম সেরা এই ফাস্ট বোলার রয়েছেন তালিকার পঞ্চম নাম্বারে। ৫ ইনিংসে ৩.৮২ ইকোনমিক রেটে ৮ উইকেট নিয়েছেন আল-আমিন হোসেন। সেরা বোলিং ফিগার ৪৩ রানে ৩ উইকেট।

৬। এবাদত হোসেন : তালিকার ষষ্ঠ রয়েছেন মাহমুদুল্লাহ একাদশের ফাস্ট বোলার এবাদত হোসেন। ৫ ইনিংসে ৫.০৯ ইকোনমিক রেটে ৮;উইকেট নিয়েছেন এবাদত হোসেন। সেরা বোলিং ফিগার ৪৬ রানে ৩ উইকেট।





৭। তাসকিন আহমেদ : এই টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে আবারও নজর কেড়েছেন তাসকিন আহমেদ। এই টুর্নামেন্টের বোলিং নিয়ে তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ফাইনালে তেমন ভালো করতে না পারল পুরো টুর্ণামেন্টে দারুণ বোলিং করেছেন তাসকিন। ৫ ইনিংসে ৪.৪৮ ইকোনমিক রেটে ৭ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। সেরা বোলিং ফিগার ৩৬ রানে ৪ উইকেট।