চট্টগ্রামকে ৫ রানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন জেমকন খুলনা।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম কে ৫ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জেমকন খুলনা। আগে ব্যাট করে চট্টগ্রামকে ১৫০ রানের টার্গেটে দেয় খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান সংগ্রহ করে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ফিরেন জহুরুল ইসলাম। নাহিদুলের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড-অফে মোসাদ্দেকের হাতে ক্যাচ হয়েন তিনি। তৃতীয় ওভারে ইমরুলও নাহিদুলের শিকার হয়েছেন।

লং অফে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ হন তিনি। ৮ বলে ৮ রান করেন ইমরুল। জাকির হাসান দারুণ খেলছিলেন। দলীয় ৪৩ রানে মোসাদ্দেকের বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ হন তিনি। ২০ বলে ২৫ রান করেন তিনি।

পরে ৪০ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আরিফুল হক। দলীয় ৮৩ রানে শরিফুলের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন আরিফুল। ২৩ বল খেলে তিনি করেন ২১ রান।

১৬তম ওভারে লং লেগে মোস্তাফিজের হাতে ক্যাচ হন শুভাগত হোম। ১২ বলে ১৫ রান করেন তিনি। পরে ওভারে রান আউট হন শামীম হোসেন। ১ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি। পরে মাশরাফি নেমে ৬ বলে ৫ রান করে মোস্তাফিজের শিকার হন। শেষ দিকে রিয়াদ ঝোড়ো ব্যাটিং করে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন।





চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে নাহিদুল ইসলাম ২টি, শরিফুল ইসলাম ২টি, মোসাদ্দেক হোসেন ১টি ও মোস্তাফিজুর রহমান ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

১৫৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৬ রানের মাথায় ১২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সৌম্য সরকার। দলীয় ৩৫ রানের মাথায় বিদায় নিন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। তবে চট্টগ্রাম আরো বিপদে পড়ে যখন দলীয় ৫১ রানের মাথায় রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন দাস।

ফাইনাল ম্যাচের ২৩ রান করেন এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তবে এরপর শামছুর রহমান এবং সৈকত আলির ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় চট্টগ্রাম। দলীয় ৯৬ রানের মাথায় শামসুর রহমানের উইকেট তুলে নেন হাসান মাহমুদ।

২৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শামসুর রহমান। তবে অন্য প্রান্ত থেকে দুর্দান্ত খেলতে থাকেন সৈকত আলী। ৪১ বলে মেডইন হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সৈকত আলী। শেষ ১২ বলে জয়ের জন্য চট্টগ্রামের প্রয়োজন ছিল ২৯ রানের।





১৯ তম ওভারে হাসান মাহমুদের শেষ বলে ছক্কা সহ ১৩ রান নিয়ে খেলা জমিয়ে দেন মোসাদ্দেক হোসেন। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে মোসাদ্দেক হোসেনকে আউট করে শহিদুল ইসলাম। ১৪ বলে একটি চার এবং একটি ছক্কায় সাহায্যে ১৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মোসাদ্দেক। পরের বলেই ৫৩ রান করা সৈকত আলীকে আউট করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শহিদুল।