যুব বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাজেভাবে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কানাডাকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩৬ রানে অলআউট হয় কানাডা অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভার হাতে রেখেই ৮ উইকেটে জয় লাভ করে বাংলাদেশ।
সেইন্ট কিটসের বাসেত্তেরে স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লে’টা নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দিয়েছিলেন কানাডার দুই ওপেনার জাশ শাহ ও অনুপ চিমা। প্রথম দশ ওভার থেকে আসে ৩৪ রান। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হতেই সাজঘরে ফেরেন ২৭ বলে ৮ রান করা জাশ।
সতীর্থ ওপেনারকে হারালেও একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন অনুপ। কিন্তু অপরপ্রান্তে তাকে কেউই তেমন সঙ্গ দিতে পারেননি। তিনে নামা ইয়াসির মাহমুদ ১, অধিনায়ক মিহির প্যাটেল ১১, মোহিত প্রসার ১২, গুরনেক জোহাল সিং ১, এথান গিবসন করেন ২ রান।
অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতার ভিড়ে একাই লড়ে যান অনুপ। ইনিংসের ৪১তম ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে সাত চারের মারে ১১৭ বলে ৬১ রান করেন এ ডানহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এরপর আর বেশি দূর যেতে পারেনি কানাডা। তাদের ইনিংস থেমে যায় ১৩৬ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে ১০ ওভারে এক মেইডেনসহ ৩৭ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন মেহরব। ডানহাতি পেসার রিপন মন্ডল ২৪ রানে সমান ৪টি উইকেট। বাকি ২ উইকেট যায় আশিকুর জামানের ঝুলিতে।
১৩৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৬ রানের মাথায় মাহফিজুর রহমানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহফুজুর। তবে প্রথম উইকেট হারানোর পথে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। প্রান্তিক নওরোজ কে সাথে নিয়ে ৭৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন ইফতেখার হোসেন।
৩৩ রানে প্রান্তিক নওরোজ আউট হলেও অন্য প্রান্ত থেকে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইফতেখার হোসেন। আইস মোল্লাকে সাথে নিয়ে শেষ পর্যন্ত দলকে জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন ইফতেখার হোসেন। ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন ইফতেখার হোসেন এবং ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন আইস মোল্লা।