আমি এক ফরম্যাট ছাড়তে চাই এ কারণে, যাতে অন্য দুই ফরম্যাটে সেরাটা দিতে পারি : তামিম ইকবাল

বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান এবং ইতিহাসের সেরা ওপেনার ব্যাটসম্যান হিসেবে ধরা হয় বর্তমান বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে তিন ফরম্যাটেই ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম।





বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন ক্যারিয়ার লম্বা করতে এক বা দুই ফরম্যাট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন তিনি। কোন ফরম্যাট থেকে তিনি অবসর নেবেন তা এখনো খোলসা করে কিছু জানায়নি তামিম ইকবাল। জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজে অবসর নেওয়ার বিষয়ে খোলাখুলি আলাপ করেছেন তামিম।

‘অবশ্যই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমার মাথায় আছে। এটা তো এই ছয় মাস পরেই। আর আমার বয়সও এখন ৩৬-৩৭ না। তাহলে কেনো নয়? টি-টোয়েন্টি পুরোপুরি আমার চিন্তার বাইরে নয়”।

“দেখুন, আমি যেভাবে নিজের ক্যারিয়ার সাজাতে চাই এবং যে পরিকল্পনাটা আছে আমার, আমি জানি যে কোন ফরম্যাট আগে ছাড়ব আর কোনটা পরে। আমার নিজের সব জানা আছে। আমার মনে হয় না সেটা সবার কাছে খুলে বলার দরকার আছে। আমার যখন মনে হবে যে, এই ফরম্যাট ছাড়লে অন্য দুই ফরম্যাটে ক্যারিয়ার লম্বা করতে পারব, তখন আর এই ফরম্যাটে নিজেকে টেনে নিবো না”।

“আমার বার্তাটা পরিষ্কার। আমি বাংলাদেশের হয়ে যত বেশিদিন সম্ভব খেলতে চাই এবং নিজের সেরাটা দিতে চাই। আমি এক ফরম্যাট ছাড়তে চাই এ কারণে, যাতে অন্য দুই ফরম্যাটে সেরাটা দিতে পারি। বিষয়টা এমন না যে ক্লান্ত হয়ে পড়ায় টেস্ট ছেড়ে দেবো কিংবা টি-টোয়েন্টি খেলব না। সিদ্ধান্তটা নেবো যেন অন্য দুই ফরম্যাটে তা কাজে লাগাতে পারি।’

‘আমি যদি আরও ৫-৬ বছর খেলতে চাই, তাহলে তিন ফরম্যাটেই টেনে নেয়া খুব কঠিন হবে। সাধারণত বিশ্বের অন্যান্য খেলোয়াড়দের দেখবেন, তারা কিন্তু একসঙ্গে তিন ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়ে ফেলে না।’

‘তারা আগে যেকোনো একটা ফরম্যাট ছেড়ে দেয় এবং অন্য দুইটি খেলতে থাকে, পরে অবসর নেয়। আমি বলতে চাচ্ছি যে, আমার ক্ষেত্রেও এমনই হবে। আমার যদি মনে হয় যে, ছয় মাস, এক বছর বা দুই বছর পর একটা ফরম্যাট ছেড়ে দেয়া ভালো হবে, আমি তাই করবো।’





‘আমি বলবো না সেটা কোন ফরম্যাট। যেমনটা বললাম, এটা ওয়ানডে, টেস্ট বা টি-টোয়েন্টির যেকোনোটাই হতে পারে। আমি সেই দুই ফরম্যাট খেলব যেখানে দলের জন্য অবদান রাখতে পারব এবং সেটাই ছেড়ে দেবো যেটায় মনে হবে যে আমার খুব বেশি কিছু দেয়ার নেই।’