আইসিসি বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের থেকে মাত্র একজন ক্রিকেটার। তিনি বলেন জাতীয় দলের ফাস্ট বোলার মুস্তাফিজুর রহমান। তবে এবার আইসিসির প্রকাশিত বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছেন সর্বোচ্চ বাংলাদেশের তিনজন ক্রিকেটার।
২০২১ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে দুর্দান্ত কেটেছে বাংলাদেশের। যার সুবাদে আইসিসি বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান মুশফিকুর রহিম এবং মোস্তাফিজুর রহমান। সেইসাথে দলের উইকেট কিপারের দায়িত্ব পড়েছে মুশফিকুর রহিমের কাঁধে।
ওয়ানডেতে সাকিবের গত বছর কেটেছে অসাধারণ। বাংলাদেশের হয়ে নিজের জাত চেনান বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ৯ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ৩৯.৫৭ গড়ে দুটি হাফ সেঞ্চুরিতে ২৭৭ রান করেন। এছাড়া বল নিয়ে ১৭ উইকেট তুলে নেন ১৭.৫২ গড়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক প্রত্যাবর্তন হয় সাকিবের, হন সিরিজের সেরা খেলোয়াড়।
উইকেটকিপিংয়ে মুশফিককে গত বছর খুব একটা দেখা না গেলেও বর্ষসেরা দলে তার হাতেই দেওয়া হয়েছে কিপিং গ্লাভস। গত বছর বাংলাদেশের সাফল্যে দারুণ অবদান রাখেন তিনি। ৯ ম্যাচ খেলে ব্যাটিংয়ে এক সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৪০৭, গড় ৫৮.১৪।
টি-টোয়েন্টির মতো ৫০ ওভারের ক্রিকেটেও মোস্তাফিজ সমহিমায় উজ্জ্বল ছিলেন ২০২১ সালে। ১০ ম্যাচ খেলে ১৮ উইকেট নেন ২১.৫৫ গড়ে। বাঁহাতি কাটার মাস্টারকে সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা, তার ৫.০৩ ইকোনমি রেট বলছে সেই কথা।
ওয়ানডের একাদশে বাংলাদেশ থেকেই সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটারের জায়গা হয়েছে। পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা থেকে দুজন করে আছেন এই দলে।
৬ ম্যাচে দুই সেঞ্চুরিতে ৪০৫ রান করা বাবরের সঙ্গে পাকিস্তান থেকে আছেন ফখর জামান। সমান ম্যাচ খেলে ৬০.৮৩ গড়ে ৩৬৫ রান করেছেন, সেঞ্চুরি দুটি। জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৪২ রান তাড়া করতে নেমে তার ১৯৩ রানে প্রায় জিতেই গিয়েছিল পাকিস্তান।
এই দলে ওপেনিংয়ে আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং ও দক্ষিণ আফ্রিকার জান্নেমান মালান। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার রাসি ফন ডার ডুসেনের ভার পড়েছে মিডল অর্ডারে। স্পিনে আছেন শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও আইরিশ অফস্পিনার সিমি সিং। মোস্তাফিজের সঙ্গে পেস আক্রমণের দায়িত্বে লঙ্কান পেসার দুষ্মন্ত চামিরা।
আইসিসির প্রকাশিত বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশ (২০২১) : বাবর আজম (পাকিস্তান), ফখর জামান (পাকিস্তান), রাসি ভ্যান ডের ডুসেন (দক্ষিণ আফ্রিকা), সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ), মুশফিকুর রহিম (বাংলাদেশ), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা), মোস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ), সিমি সিং (আয়ারল্যান্ড), দুষ্মন্ত চামেরা (শ্রীলঙ্কা)।