২ ওভারে ৩ উইকেট হারানোর পর ৩২৬ রান তাড়া করে জেতা কঠিন : তামিম ইকবাল

৩২৭ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সাকিব সুযোগ সৃষ্টি করে দ্রুত রান তোলার আগ্রহ দেখালেও তামিমের মধ্যে লড়াইয়ের কোনো তাড়নাই ছিল না। ধীর গতির ব্যাটিংয়ে প্রতিপক্ষের বোলারদের আরও সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছিলেন। তাতে চাপ বাড়ছিল সাকিবের ওপর। প্রথম ৩৩ বলে ২৪ রান করা তামিম পরের ১১ রান করেন ৩২ বলে।





খোলস থেকে বেরিয়ে আসতে মঈন আলীর বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা উড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু লং অফে আটকে যান ভিঞ্চের হাতে। সাকিব আরেকপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে ফিফটি তুলে নিলেও তার ব্যাট বেশিদূর যায়নি। ৬৯ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৮ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

ব্যাটিংয়ে আরো আক্রমণাত্মক হওয়ার সুযোগ ছিল কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেন,”যখন প্রথম ওভারে দুই উইকেট হারাবেন এবং তৃতীয়টা (উইকেট) তৃতীয় ওভারে, তখন আপনি যে বিপর্যয়ে পড়বেন সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আপনাকে সময় দিতে হবে। পুনরায় লড়াই শুরু করতে হবে। যেটা সাকিব ও আমি চেষ্টা করেছিলাম”

“৩২৬ রান তাড়া করতে গেলে কাউকে না কাউকে কোনো না কোনো সময় সুযোগ নিতেই হতো। আমি যখন সেই সুযোগটি নিতে যাই, দূর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা কাজে লাগেনি। কিন্তু ২ ওভারে ৩ উইকেট হারানোর পর ৩২৬ রান তাড়া করে জেতা কঠিন।”

“১২-১৫ বছর আগে যদি আমরা এই পরিস্থিতিতে থাকতাম তাহলে হতো কি, আমরা একটা সম্মানজনক স্কোরের কথা চিন্তা করতাম। যখন ৩-৪টা উইকেট পড়ে গেছে। সাকিব ও আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম জেতার জন্যই চিন্তা করছিলাম। কারণ আপনাকে আবার ইনিংস গড়ে তুলতে হবে। যখন ৩ উইকেট পড়ে যাবে আপনাকে একটু সময় নিতে হবে”





“আমরা চাচ্ছিলাম যে, যতটুকু আমরা আগাতে পারি। আগেই যদি হার মেনে নিতাম তাহলে খেলাটা হতো অন্যরকম। অমি মনে করি না আমরা ওই পর্যায়ে আছি। ওরা চারশ রান করলেও আমি ও সাকিব চেষ্টা করতাম। আমরা পারি না পারি, সেটা ভিন্ন কিছু। আমি মনে করি আমি ও সাকিব যখন ব্যাটিং করেছি দুজন চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওই ৩০-৩৫ বা ৫০ রানে এই ধরণের লক্ষ্য তাড়া করা যাবে না।”