সদ্যঃসমাপ্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবম আসরে সবচেয়ে বড় আবিষ্কার হিসেবে ধরা হচ্ছে সিলেট স্ট্রাইকার্সে্য টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয়। এবারের বিপিএলের আসরে তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেছেন তিনি।
এক কথায় বলতে গেলে এবারের বিপিএলের সেরা ইমাজিং ক্রিকেটার হয়েছেন তিনি। বিপিএলে হ্যাটট্রিক হাফ সেঞ্চুরি সহ ১২ ইনিংসে পাঁচ ফিফটি আর ৩৬.৬৩ গড়ে করেছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪০৩ রান। স্ট্রাইক রেট ১৪০.৪১, বাংলাদেশের বাস্তবতায় যা দারুণ।
এই তৌহিদ হৃদয়কে নিজ হাতে গড়ে তুলেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। সেই ছোটবেলা থেকেই হৃদয়কে কোচিং করাচ্ছেন সুজন।
রাজশাহীতে বাংলা ট্র্যাক একাডেমিতে সুজনের কোচিংয়েই তার ক্রিকেটার হয়ে ওঠা। পরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও সুজনের ছায়ায় থেকেছেন। দীর্ঘদিন ধরে যাকে কোচিং করাচ্ছেন, সেই হৃদয়কে জাতীয় দলে দেখে উচ্ছ্বসিত সুজন আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের বলেন,
“ছোটবেলা থেকেই ও অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার। খুব ভালো লাগছে যে এখন (প্রতিভা) কাজে লাগাতে পারছে। আমার মনে হয়, অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ভালো করার পর ও একটু পিছিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ও সত্যিই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সুযোগ খুব ভালো কাজে লাগাচ্ছে, খুব ভালো খেলছে।”
বিপিএলের গত আসরে ও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে জাতীয় দলের সুযোগ করে নিয়েছিলেন মুনিম শাহরিয়ার। কিন্তু জাতীয় দলে স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। তবে হৃদয়ের মাঝে জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ দেখছেন সুজন,
“আমি মনে করি, ছেলেটার মধ্যে সামর্থ্য আছে জাতীয় দলে খেলার। দারুণ ব্যাটিং করে, মাথা ভালো, ফিল্ডিং করে খুব ভালো। সুতরাং সুযোগ পেয়েছে। এখন তো মাত্র সুযোগ পেল দলে। কিন্তু যখন খেলার সুযোগ পাবে, তখন সেটা ওরই করতে হবে, মাঠে সেরা ক্রিকেটটা খেলতে হবে। আমি মনে করি আমাদের ভবিষ্যৎ খেলোয়াড়ের মধ্যে অবশ্যই হৃদয়ের নাম আছে”