জনসন চার্লসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের টার্গেটে জয়লাভ করল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়াস

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এবারের আসরের সবচেয়ে বড় হাই স্কোরিং ম্যাচ দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। সিলেটে বিপিএলের ৩২ তম ম্যাচে আজ ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়েছে খুলনা টাইগার্স এবং কুমিল্লার ভিক্টোরিয়ান্সের ব্যাটসম্যানরা।





যেখানে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের ৯৫ এবং শাই হোপের ৯১ রানে কুমিল্লাকে ২১১ রানের টার্গেট দেয় খুলনা টাইগার্স। কিন্তু সেটি কেও মামুলি টার্গেট বানিয়ে ফেলেছে মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং জনসন চার্লস।

মোহাম্মদ রেজওয়ান ৭৩ রান করে আউট হলেও অন্য প্রান্ত থেকে তুফান তৈরি করেছিলেন জনসন চার্লস। ৫৬ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত জনসন চার্লসের ১০৭ রানের সুবাদে ১০ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে জয়লাভ করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়াস।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মাহমুদুল হাসান জয়কে হারায় খুলনা টাইগার্স। ১ রান করে এই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর দলকে আর পেছন ফিরে তাকাতে দেননি তামিম ও হোপ। ঝড়ো ইনিংস খেলতে থাকা হোপ ২৭ বলে পূর্ণ করেন হাফ সেঞ্চুরি। আর তামিমের লেগেছে ৪৫ বল।

ফিফটি পূর্ণ করে ঝড়ো ব্যাট চালাতে থাকেন তামিম। তবে শেষ ওভারে গিয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয় তার। মাত্র পাঁচ রানের জন্য মিস করেন সেঞ্চুরি। যাওয়ার আগে তিনি ৬১ বলে ৯৫ রানের ইনিংসটি সাজান ৪ ছক্কা ও ১১ চারে। মোসাদ্দেক হোসেনের বলে তুলে মারতে গিয়ে তামিম ক্যাচ দিলে ভাঙে ১৮৬ রানের জুটি।





পাঁচ বল হাতে থাকা অবস্থায় আজম খান ৪ বলে করেন অপরাজিত ১২ রান। শাই হোপকে অপরাজিত থাকতে হয় ৯১ রানেই। ৫৫ বলের এই ইনিংসে তিনি হাঁকান ৭ ছক্কা ও ৪ চার।

বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শফিকুল ইসলামের প্রথম বলে চার মারেন লিটন দাস। কিন্তু পরের বলে হাতে চোট পান। ব্যথার যন্ত্রণা সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় লিটনকে। তিন নম্বরে খেলতে নেমে ভালো কিছু এনে দিতে পারেননি ইমরুল কায়েস।

৩ বলে ৪ রান করে কুমিল্লা অধিনায়ক আউট হন শফিকুল ইসলামের বলে। এরপরই কুমিল্লার ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে থাকেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও জনাথন চার্লস। মাত্র ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই ব্যাটার ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৯ বলে ৭৩ রান করে আউট হন।





তার বিদায়ের পর জ্বলে উঠে জনাথন চার্লসের ব্যাট। ইনিংসের শুরুর দিকে কিছুটা ধীরস্থির ছিলেন তিনি। ৩১ বল থেকে আসে কেবল ৩৪ রান। এরপরই ঝড় তোলার শুরু হয় চার্লসের। প্রথমে আমাদ বাটের ওভারে ২২ রান ও নাহিদুলের ওভারে ২৪ রান তিনি। শেষ অবধি এই ব্যাটার পেয়ে যান সেঞ্চুরির দেখা।





টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় শতক তার। আগেরটিও ছিল বিপিএলেই, রংপুর রাইডার্সের হয়ে। আজম খান, উসমান খান ও ইফতেখার আহমেদের পর চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে এবারের বিপিএলে সেঞ্চুরি পেলেন চার্লস। ৫ চার ও ১১ ছক্কায় ৫৬ বলে ১০৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। বড় রান তাড়ায় কুমিল্লা জয় পায় প্রায় দুই ওভার হাতে রেখেই!