টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো না করলেও বল হাতে দুর্দান্ত শুরু করেছে বাংলাদেশের বোলাররা। বিশ্বকাপে আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। যেখানে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১২.৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে শেষ ৬৬ রান সংগ্রহ করেছে নেদারল্যান্ডস। তবে বর্তমানে বৃষ্টির কারণে খেলা আপাতত বন্ধ রয়েছে। যদি বৃষ্টির কারণে খেলা আর সম্ভব না হয় তাহলে ৩২ রানে এই ম্যাচে জয়লাভ করবে বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ে রান কম করল বল হাতে পুষিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ। সেই সঙ্গে ফিল্ডিংয়েও বড় ভূমিকা রাখতে হত টাইগারদের। পেসার তাসকিন আহমেদ ঠিক তেমনই এক সূচনা এনে প্রথম ওভারেই তুলে নিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডের জোড়া উইকেট।
এরপর নেদারল্যান্ডকে চাপে রেখে রান আটকে রাখলেও উইকেট নিতে পারছিলেন না বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু সাকিব আল হাসান বোলিংয়ে এসেই টানা দুই রানআউট করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই বোলিং করতে আসেন সাকিব। কিন্তু আগমনের প্রথম বলটি ভুলে যেতে চাইতেন তিনি। লেগ সাইডে ছক্কা হাঁকিয়ে চোখ রাঙানি দিচ্ছিলেন ম্যাক্স ও’ডাউড। তবে ঠিক পরের বলেই রান আউটের কবলে পড়েন ও’ডাউড।
মিড উইকেটে বল ঠেলে দিয়ে রান নিতে চেয়েছিলেন ও’ডাউড। তবে অপর প্রান্তের ব্যাটার কলিন অ্যাকারম্যান রান নিতে চাননি। ফলে হাসান মাহমুদ বল কুড়িয়ে সাকিবের কাছে ফেরত পাঠানোর সাথে সাথেই স্টাম্প ভাঙেন সাকিব। ফলে ১৩ রানে তিন উইকেট খুইয়ে বসে ডাচরা।
ঠিক ১ বল পরই আরও এক উইকেট খুইয়ে বসেছে নেদারল্যান্ডস। এবারও দারুণ ফিল্ডিং করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ডিপ পয়েন্টে অ্যাকারম্যানের খেলা শট বাউন্ডারি লাইনে ঠেকিয়ে বল পাঠান উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের কাছে। কিন্তু তিন রান নিতে গিয়েই টম কুপার কোনো বল মোকাবেলা করতে না পেরেই ‘ডায়মন্ড ডাক’ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন।
এর আগে, বাংলাদেশ টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত (২৫), সৌম্য সরকার (১৪), লিটন দাস (৯), সাকিব আল হাসান (৭), ইয়াসির আলীর (৩), আফিফ হোসেন (৩৮), নুরুল হাসান সোহান (১৩), মোসাদ্দেক হোসেন (২০*) রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে বাংলাদেশ।
বোলিংয়ে নেদারল্যান্ডসের হয়ে পল ভ্যান মিকোরেন ও বাস ডি লিড ২টি করে উইকেট পান। এছাড়া টিম প্রিঙ্গেল, লোগান ভ্যান বিক, সারিজ আহমেদ ও ফ্রেড ক্লাসেন প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট পান।