নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজেও ফাস্ট বোলারদের নিয়ে হবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে এখন নিউজিল্যান্ডের ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে যাবে বাংলাদেশ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২ অক্টোবর ঢাকা ত্যাগ করবে টাইগাররা।





টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এটি বাংলাদেশের শেষ সিরিজ। তাই এই সিরিজও হতে পারে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা। আগেই জানা ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে টিম ম্যানেজমেন্ট।

যেখানে আজ দুই ফাস্ট বোলার মুস্তাফিজুর রহমান এবং শরিফুল ইসলামকে বসিয়ে এবাদত হোসেন এবং তাসকিন আহমেদকে দিয়ে একাদশ সাজান টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরাম।

যদিও ম্যাচের শেষে সফল হয়েছেন এই দুই ফাস্ট বোলার। তাসকিন এবং এবাদত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছেন। শেষ ওভার বাদ দিলে তাসকিন প্রথম তিন ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ৮ রান।

চার ওভারে ২ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন একটি উইকেট। এছাড়াও বল হাতে চার ওভারে ২৪ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট নিয়েছেন এবাদত হোসেন।

প্রথম ম্যাচের একাদশে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলাম। প্রথম ম্যাচে মোস্তাফিজ ২টি ও শরীফুল ৩টি উইকেট পেলেও আজ তাদেরকে বিশ্রাম দিয়ে খেলানো হয়েছে তাসকিন আহমেদ ও ইবাদত হোসেনকে।





তাইতো আগামী ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেও ফাস্ট বলার দের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ফেলানো হবে বলে জানিয়েছেন টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরাম। আজ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সাক্ষাৎকারে শ্রীরাম বলেন,

“তাসকিনকে বাদ দেওয়া হয়েছিল প্রথম ম্যাচে, এই কথা আমি বলব না। আমাদের পরিকল্পনা ছিল কে কোন ম্যাচে খেলবে তা নিয়ে। মোস্তাফিজ ও শরীফুল প্রথম ম্যাচে খেলবে এটা আগেই নির্ধারিত ছিল”।





“আজ তাসকিন ও ইবাদত খেলেছে। আমাদের পেসারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানোর পরিষ্কার পরিকল্পনা ছিল। সামনেও এমনই পরিকল্পনা থাকবে। বিশ্বকাপে কে হবে আমাদের পেসার, সেটা নির্ধারণের জন্যই আমাদের এই পরিকল্পনা।”





“আমাদের ত্রিদেশীয় সিরিজ আছে নিউজিল্যান্ডে। সেখানে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলব। পাকিস্তান এই মুহূর্তে অসাধারণ টি-টোয়েন্টি খেলছে। আর নিউজিল্যান্ড তো ঘরের মাঠে দারুণ দল। ছেলেদের জন্য সেটা ভিন্নরকমের চ্যালেঞ্জ হবে”।