ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের কোন ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম টেস্ট ম্যাচের ৭ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ আরো বাজে ভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে কাজী নুরুল হাসান সোহানের কল্যাণে ইনিংস ব্যবধানে পরিবর্তে ১০ উইকেটে হেরেছে টাইগাররা।
এই পরাজয়ের ফলে টেস্ট ক্রিকেটে শততম পরাজয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ। ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ১৩৪ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা।
যেখানে বাংলাদেশের পরাজয় ১০০টি ম্যাচে। বাকি ৩৪টি ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ জয়লাভ করেছে ১৬ টি ম্যাচে এবং ড্র হয়েছে ১৮টি ম্যাচে। গতকাল দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনের বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হতে দুপুর গড়িয়ে যায়।
বাংলাদেশের চেয়ে এতো কম ম্যাচ খেলে শততম হার দেখেনি কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশ। এমনকি ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়েও বাংলাদেশের এই লজ্জার রেকর্ডটি ভাঙতে পারবে না। মাত্র ১৩৪ টেস্ট খেলেই ১০০ হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা।
সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ১০০ হারের রেকর্ডটি এতোদিন ছিল নিউজিল্যান্ডের দখলে। ১০০ টেস্ট হারতে কিউইদের লেগেছিল ২৪১টি টেস্ট। শ্রীলঙ্কা শততম হারের স্বাদ পেয়েছিল নিজেদের ২৬৬তম টেস্টে এসে।
শততম হারের মুখ দেখতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। ৩৭৪তম টেস্টে অজিরা পেয়েছিল শততম হারের স্বাদ। এছাড়া ১০০টি টেস্ট হারতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৬৮, পাকিস্তানের ৩৫৭, ইংল্যান্ডের ৩৪১, ভারতের ৩০৩ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ২৭৯ ম্যাচ লেগেছিল।
টেস্টে এখনো ১০০ হারের স্বাদ পায়নি জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের চেয়ে তাদেরও জয়-পরাজয়ের হার ভালো। এখন পর্যন্ত ১১৭ টেস্ট খেলে জিম্বাবুয়ে হেরেছে ৭৫টি, জিতেছে ১৩ ম্যাচে। অর্থাৎ সামনের ২৫ টেস্টের সবগুলো হারলেও পরাজয়ের সেঞ্চুরি করতে জিম্বাবুয়ের লাগবে ১৪২ ম্যাচ।