আইপিএল শেষ মোস্তাফিজুর রহমানের

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএলের এবারের আসরে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলছেন জাতীয় দলের ফাস্ট বোলার মোস্তাফিজুর রহমান। তবে আইপিএলে এখন পর্যন্ত খেলা মুস্তাফিজের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করলে, সেটিকে বেশি ভালো বলা যাবে আবার না একদম খারাপ ও বলা যাবে না।





যদিও আইপিএলের এবারের আসরে শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্ত। গুজরাটের বিপক্ষে তিন উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর আর উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না মোস্তাফিজুর রহমান। দুই-একটি ওভার বাদে প্রতিটি ম্যাচেই মোটামুটি ভালো বোলিং করেছেন মুস্তাফিজ।

৮ ম্যাচে ৩২ ওভারে ৭.৬২ ইকোনমিতে ৮ উইকেট শিকার করেছেন মুস্তাফিজ। অবশ্য আইপিএলে মুস্তাফিজ ২০১৬ সালের পর কখনোই ম্যাচপ্রতি ১ উইকেটের বেশি পাননি। ২০১৬ সালে সবাইকে চমকে দেওয়ার বছরেও ১৬ ম্যাচে তার ১৭ উইকেট ছিল।

কিন্তু টানা তিন ম্যাচ মুস্তাফিজকে বসিয়ে রেখেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে তার পিছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। এবারের আইপিএলে তরুণ ক্রিকেটার ক্রিকেটারদের উপর বেশি প্রাধান্য দিয়েছে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি।

খেয়াল করলেই দেখা যাবে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরে প্রতিটি দল দেশীয় তরুণ পেসারদের ওপর জোর দিয়েছে। এছাড়া অনেক দলেই এখন দেশি বাঁহাতি পেসার আছে। শুধু বাঁহাতি পেসার খেলাতে হবে, এই যুক্তিতে যেন কোনো বিদেশি কোটা পূরণ না হয়ে যায়, সেটা নিশ্চিত করতেই এ ব্যবস্থা।

এই কারণেই মুস্তাফিজের সঙ্গে দেশি দুই বাঁ-হাতিকেও কিনেও রেখেছিল দিল্লি। মুস্তাফিজের সাবেক রাজস্থান সতীর্থ চেতন সাকারিয়া ছাড়াও দলে নেওয়া হয়েছে খলিল আহমেদকে। অন্যদিকে এনরিখ নর্কিয়া ইনজুরি কাটিয়ে ফর্মে ফেরায় আবারও সাইডবেঞ্চে চলে যেতে হয়েছে মুস্তাফিজকে।





যদিও আইপিএলে শুরু থেকেই একাদশে খেলার কথা ছিল নর্কিয়ার। তবে পুরোপুরি ফিট না থাকার কারণে তার পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়েছিল মুস্তাফিজ এছাড়াও, সবশেষ ম্যাচে বুধবার (১১ মে) রাজস্থানের বিপক্ষে হারলেই প্লে অফের আশা শেষ হয়ে যেত দিল্লির। সেই ক্ষেত্রে বাকি থাকা দুই ম্যাচে মুস্তাফিজের আর সুযোগ মিলতো কি না সন্দেহ।





তবে কালকের ম্যাচে জয়ে এখনো আশা টিকে আছে দিল্লি। তবে একাদশে ফেরার আশা ক্ষীণ মুস্তাফিজের। তার পেছনেও বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, উইনিং কম্বিনেশনে রদবদল আনবে না টিম। এছাড়া সবচেয়ে বড় কারণ, এনরিখ নর্কিয়া বল হাতে ভালো করছেন। সবশেষ ম্যাচে রান খরচ করলেও দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি।