আইপিএলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এছাড়াও আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচের জয়ের রেকর্ড তাদের দখলে। অথচ আইপিএলের এবারের আসরে একটিমাত্র জয়ের জন্য আফসোস করছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ভক্তরা।
আইপিএলের আসরে এখনো পর্যন্ত জয়ের দেখা পায়নি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ৮ ম্যাচের মধ্যে ৮ ম্যাচে হেরেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। যার ফলে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়ল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
গতকাল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে লক্ষ্ণৌ। জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেটে ১৩২ রান করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। লক্ষ্ণৌকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেওয়ার নায়ক রাহুল খেলেন ৬২ বলে ৪ ছক্কা ও ১২ চারে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস।
মুম্বাইয়ের বিপক্ষে যা তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে কোনো একটি দলের বিপক্ষে এই কীর্তি নেই আর কারও। আইপিএলে এটি রাহুলের চতুর্থ ও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। দলটির হয়ে বিশের ঘরে যেতে পেরেছেন আর কেবল একজন। ২২ বলে এক ছক্কায় ২২ রান করেন মনিশ পান্ডে।
রান তাড়ায় মুম্বাইয়ের শুরুটা খারাপ ছিল না। এক প্রান্তে ইশান কিষান ধুঁকলেও রোহিত রানের চাকা সচল রাখেন। তাদের ৪৯ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ফাটল ধরার পর ভেঙে পড়ে ব্যাটিং লাইন আপও।
বিনা উইকেটে ৪৯ রান থেকে ৬৭ পর্যন্ত যেতে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে মুম্বাই। এর মধ্যে দুই অঙ্কে যেতে পারেন কেবল রোহিত। করেন এক ছক্কা ও ৫ চারে ৩৯ রান।
এরপর পোলার্ডকে নিয়ে দলকে লক্ষ্যের দিকে টানেন তিলক ভার্মা। তিনি যা কিছুটা রানের গতিতে দম দেন, পোলার্ড ছিলেন একদম নিষ্প্রভ। তাদের ৩৯ বলে ৫৭ রানের জুটিতে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের রান ১৭ বলে ১৭।
দুটি করে ছক্কা-চারে ২৭ বলে ৩৮ রান করে আউট হন তিলক। এক ছক্কায় ২০ বলে ১৯ করেন পোলার্ড।লক্ষ্ণৌয়ের হয়ে দারুণ বোলিং করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। স্রেফ ১৯ রান দিয়ে উইকেট নেন তিনটি। উইকেটশূন্য থাকলেও অসাধারণ বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দেন শ্রীলঙ্কান পেসার দুশমন্থ চামিরা।