অসম্ভবকে সম্ভব করলেন সোহান। ৪৯ তম ওভারে ২৬ রান নিয়ে ১৩২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে একাই জেতালেন সোহান

অবশেষে ব্যাট হাতে রান পেলেন জাতীয় দলের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান কাজী নুরুল হাসান সোহান। ২৪৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। দলীয় ৮১ রানের মাথায় ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে ফড়া দলকে একাই জেতালেন সোহান।





উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার ১১৮ বলে ১৩২ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে শেখ জামালকে এনে দিলেন অবিশ্বাস্য এক জয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সুপার লিগের ম্যাচে আজ (বৃহস্পতিবার) রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল।

বৃহস্পতিবার রূপগঞ্জের দেওয়া ২৪৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৮১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে শেখ জামাল। ক্রিজে থিতু হয়েও ফেরেন মুশফিকুর রহিম (৩২)। ইমরুল কায়েস ১২ ও সাইফ হাসান ফেরেন ১১ রানে। রবিউল ইসলাম রানের খাতাই খুলতে পারেননি। আর পারভেজ রসুলের ব্যাট থেকে আসে ১ রান।

এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান সোহান। সিঙ্গেলস-ডাবলসের সঙ্গে মাঝেমধ্যে বাউন্ডারি মেরে খেলতে থাকেন। দুজনে জুটি গড়ে এগোচ্ছিলেন জয়ের দিকে। কিন্তু ৪৩ রানে মিরাজের রানআউটে ভেঙে যায় জুটি। ১৩৪ রান আসে এই জুটি থেকে।

এরপর ক্রিজে আসেন জিয়াউর রহমান। তাকে নিয়েই খেলা শেষ করে আসেন সোহান। ৬৫ বলে তিনি পেয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরি। আর সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি করেন ১০৯ বলে। তিন অঙ্কের ঘর ছোঁয়ার পর যেন রুদ্র মূর্তি ধারণ করেন তিনি। পরের ৩২ রান আসে মাত্র ৯ বলেই!

১২ বলে প্রয়োজন ২৩ রান। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলেই মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধকে চার আর দ্বিতীয় বলে স্কয়ার লেগে হাওয়ায় ভাসিয়ে ছয়। ১ বল ডট দিয়ে ১ চার ও টানা দুই ছয়। ছয় বলেই ম্যাচ শেষে করে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে চার উইকেটে জয় নিশ্চিত করে বিজয়ের বেশে মাঠ ছাড়েন সোহান।

এই জয়ে শিরোপার আরও কাছে গেল শেখ জামাল। ১২ ম্যাচে দলটির পয়েন্ট সর্বোচ্চ ২২। সমান ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে।

শুরুতে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরা মুগ্ধই শেষ পর্যন্ত ডোবালেন। ৩ ছয় আর ২ চারে শেষ ওভারে দেন ২৬ রান। ১০ ওভারে তিনি দেন ৭৬ রান। এ ছাড়া ১টি করে উইকেট নেন নাহিদ হাসান, শরিফুল্লাহ ও এনামুল হক জুনিয়র।





এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ২৪৭ রান করে রূপগঞ্জ। সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন জাকির হাসান। ৯৮ বলে ৭টি চারের মারে এই রান করেন তিনি। এ ছাড়া ৫০ রান করে অপরাজিত ছিলেন সাদ নাসিম। তার সঙ্গে ১৭ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন নাসুম আহমেদ। শেখ জামালের হয়ে ১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মিরাজ। ম্যাচসেরা হয়েছেন সোহান।