হাসান আলীর বিধ্বংসী বোলিংয়ে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৩২ রানে অলআউট জিম্বাবুয়ে

পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হারের মুখে পড়েছে জিম্বাবুয়ে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের যেতে অনেক চমক দেখিয়ে ছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু এরপর টেস্ট সিরিজও পাকিস্তানের কাছে এক প্রকার নাকানি-চুবানি খাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের দেওয়া ৫১০ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩২ রানে অলআউট হয়েছে জিম্বাবুয়ে।






হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩২ রানে অলআউট হয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। অথচ পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে শেষ অর্থাৎ অষ্টম উইকেট জুটিতেই যোগ করেছিল ১৭৮ রান। অষ্টম উইকেট পতনের পর ৫১০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছিল তারা।

পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে করা ৫১০ রানের ৩৭৮ রানে পিছিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের ফলো-অন করিয়েছে পাকিস্তান। এখন দ্বিতীয় ইনিংসে অন্তত ৩৭৮ রান করতে না পারলে আরও একটি ইনিংস পরাজয়ের তিক্ত পেতে হবে স্বাগতিকদের।

শনিবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষ সেশনে ৩০ ওভারে ৫২ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। আজ (রোববার) সকালে দুই ঘণ্টার মধ্যেই হারিয়ে ফেলেছে বাকি ৬ উইকেট। এসময়ে ৩০.৪ ওভারে যোগ করতে পেরেছে ৮০ রান।যেখানে বড় অবদান দশম উইকেট জুটির।

আজ দিনের চতুর্থ বলেই প্রথম আঘাতটা হানেন ডানহাতি পেসার হাসান আলি। যিনি শেষ পর্যন্ত মাত্র ২৭ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। এটিই হাসান আলির টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। হাসানের তোপেই মাত্র ৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে।





মনে হচ্ছিল, একশ রানের আগেই গুটিয়ে যাবে স্বাগতিকরা। কিন্তু অষ্টম উইকেটে ৩১ ও দশম উইকেটে ২২ রানের জুটিতে দলীয় সংগ্রহ পৌঁছায় ১৩২ রানে। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রেগিস চাকাভা। এছাড়া ডোনাল্ড তিরিপানো ২৩ ও লুক জঙউই করেছেন ১৯ রান।