এবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হতে পারে অস্ট্রেলিয়ায়। আইপিএল হতে পারে ইংল্যান্ড অথবা আরব আমিরাতে

বড় ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ইতিমধ্যেই মাঝপথে গিয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)-এর এবারের আসর। করোনার কারণে স্থগিত হওয়ার আগে মাঠে গড়িয়েছে ২৯টি ম্যাচ, বাকি ছিল আরও ৩১টি খেলা। এখন আইপিএলের বাকি অংশ নিয়েই চিন্তায় পড়ে গেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।





তবে শুধু আইপিএলে নয়, এ বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু বর্তমানে ভারতের করোনা সংক্রমণের কারণে আগামী অক্টোবরে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং আইপিএলের বাকি অংশ- দুটিকে ঘিরেই সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

তবে এখনো আশা ছাড়েনি আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। চলতি বছরের শেষের দিকে আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজন করতে চায় ভারত ক্রিকেট বোর্ড। তবে এই মুহূর্তে ভারতে আইপিএল এবং বিশ্বকাপ আয়োজন করা একপ্রকার অসম্ভব। তাহলে কোথায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং আইপিএল এর বাকি অংশ।

ভারতীয় বোর্ডের এক শীর্ষকর্তা দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ‘আইপিএলের বাকি অংশ বিদেশের মাটিতেই করতে হবে। এরই মধ্যে বেশ কিছু পরামর্শ পাওয়া গেছে। এখন বিসিসিআইয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

গতবছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফলভাবে আইপিএল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এবারও সেই পথেই হাঁটতে পারে ভারত। সেপ্টেম্বরে আইপিএলের বাকি অংশের পর দুবাইতেই আয়োজন করা হতে পারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যদিও তার বিকল্প ভেবে রেখেছে বিসিসিআই।

আগামী মাসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে ইংল্যান্ড যাবে ভারতীয় ক্রিকেট দল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল খেলার পর আবার ইংল্যান্ডের সঙ্গে রয়েছে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এ দুই এসাইনমেন্ট শেষ করে আইপিএলের জন্য ইংল্যান্ডেই থেকে যেতে পারবে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। এরপর বিশ্বকাপ খেলতে তারা চলে যাবে আমিরাতে।





আর সবশেষ পথ হলো, বিসিসিআই চাইলে এবং অস্ট্রেলিয়া সরকার চার মাসের মধ্যে তাদের প্রটোকলে পরিবর্তন আনলে, আইপিএলের বাকি অংশ অস্ট্রেলিয়ায় হতে পারে। সেক্ষেত্রে চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও আয়োজন করবে অস্ট্রেলিয়া। আর ভারত করবে ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।