ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্টে দ্বিতীয়দিনের খেলায় বোলিংয়ে চাপে ধরেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের। এরই সুবাদে প্রথম সেশনেই উইকেটের দেখা পেল টাইগাররা। সেঞ্চুরিয়ান ওপেনার লাহিরু থিরিমান্নেকে সাজঘরে ফেরানোর পর পরের উইকেটে ব্যাট করতে আসা অ্যাঞ্জেলা ম্যাথিউসকেও সাজঘরে ফেরান তাসকিন আহমেদ।
২৯১ রানে প্রথমদিন শেষ করা লঙ্কানরা দ্বিতীয়দিনের খেলায় আজ(শুক্রবার) ফের ব্যাট করতে নামে। এদিন অনেকটা ধীর গতিতে ব্যাট করতে নামেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান লাহিরু থিরিমান্নে এবং ওসাদা ফার্নান্দো।
এদিন ব্যক্তিগত অর্ধশত রান পূর্ণ করেন ফার্নান্দো। অন্যদিকে ১৪০ রান তুলে তাসকিন আহমেদের বলে লিটনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন থিরিমান্নে। পরের উইকেটে ব্যাট করতে আসা ম্যথিউসকে বেশিক্ষণ থাকতে দেননি তাসকিন। ফিরেছেন মাত্র ৫ রানে।
পঞ্চম উইকেটে ব্যাট করতে নামা আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ধনঞ্জয়া ডি সিলভার উইকেটে দ্রুতই তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। ২ রান করে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪ উইকেটে ৩৩৪ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলংকা।
বৃহস্পতিবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের দেখে-শুনে খেলতে থাকেন লঙ্কান দুই ওপেনার। মাটি কামড়ে ব্যাট করতে থাকায় উইকেটের দেখা পাচ্ছে না সফরকারীরা।
শ্রীলঙ্কার উইকেট ফেলতে ক্ষণে ক্ষণে বোলিংয়ে পরিবর্তন আনেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। হয়তো তার এই ফর্মূলা কাজেও লেগে যেতে পারত। ২০ ওভারের খেলায় তাসকিনের হাতে বল তুলে দেন তিনি। তার করা প্রথম বলেই চার হাঁকান করুনারত্নে।
পরক্ষণেই ঘুরে দাঁড়ান তাসকিন। দুর্দান্ত বোলিংয়ে লঙ্কান দলনেতাকে একই ওভারে দুবার পরাস্থও করতে সক্ষম হন। কিন্তু একবার মুমিনুল এবং অন্যবার শান্ত ক্যাচ মিস করলে আর উইকেট তোলা সম্ভব হয়নি।
এরপর আর থামানো যায়নি লঙ্কান ওপেনারদের। করুনারত্নে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন। এটি তার ক্যারিয়ারের ১২তম শত রানের ইনিংস। অন্যদিকে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন আরেক ওপেনার লাহিরু থিরিমিান্নে। দুজনের ওপেনিং জুটি থেমেছে ২০৯ রানে।
অভিষিক্ত পেসার শরিফুল ইসলামের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন করুনারত্নে। ১৯০ বলে ১১৮ রানে আউট হন তিনি। সারাদিনে আর উইকেট হারাতে হয়নি স্বাগতিকদের। দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নামা ওসাদা ফার্নান্দোকে নিয়ে ৮১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন থিরিমান্নে। বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র উইকেটটি নেন উদীয়মান টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম।