আফিফ হোসেন এবং মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ব্যাটে লজ্জাজনক হারের হাত থেকে বাঁচালো বাংলাদেশ

রবিবার বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬৬ রানে জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২১০ রান সংগ্রহ করে কিউইরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

২১১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে টিম সাউদির বলে মাত্র ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন দাস। ব্যাট হাতে কিছুটা ঝড় তোলেন ওপেনার নাঈম শেখ। ১৮ বলে ২৭ রান করে লোকি ফার্গুসনের বলে তিনিও প্যাভিলিয়নে ফেরেন।

তবে এর পরেই বোলিং তাণ্ডব চালান ইশ সোধি। ব্যক্তিগত দুই ওভারের মধ্যেই তুলে নেন চারটি উইকেট। জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সুযোগ। প্রথমেই তিনি প্যাভিলিয়নে ফেরেন সৌম্য সরকারকে। মাত্র ৫ রান করেই প্যাভিলিয়নে করেছেন তিনি। একই ওভারে মাত্র ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন।

ব্যক্তিগত পরের ওভারেই এসে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। ১১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। পরের বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন শেখ মেহেদী হাসান। তবে বাংলাদেশের মান বাঁচিয়েছেন আফিফ হোসেন এবং সাইফুদ্দিন।

দলীয় ১২২ রানের মাথায় বোল্ড আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আফিফ হোসেন। ৩৩ বলে পাঁচটি চার এবং একটি ছক্কায় সাহায্যে ৪৫ রান করে লোকি ফার্গুসনের বলে আউট হন আফিফ হোসেন। এছাড়াও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।





এর আগে শুরুতেই বোলিংয়ে নেমে হ্যামিলটনের সিডন পার্কে ইনিংসের প্রথম ওভারেই নাসুম আহমেদকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম ওভারে বল করতে এসেই সফলতার দেখা পান নাসুম। ফিন অ্যালেনকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। অ্যালেন তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম বলেই আউট হন।

সপ্তম ওভারে বল করতে এসে আরেকটি উইকেটের দেখা পান নাসুম। সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ হন মার্টিন গাপটিল। নাসুমের নামের পাশে আরেকটি উইকেট যোগ হতে পারতো। কিন্তু ১৫তম ওভারে শরিফুল ইসলাম যখন কনওয়ের ক্যাচটি নিয়েছিল তখন তার পা বাউন্ডারি রোপে স্পর্শ করে।

ফিল্ড আম্পায়ার সিদ্ধান্তের জন্য তৃতীয় আম্পায়ারের স্মরণাপন্ন হন। তখনই নিশ্চিত হওয়া যায় যে, শরিফুলের পা বাউন্ডারি লাইনে স্পর্শ করেছে। যার ফলে এটি ছয় হয়ে যায়। সেই সাথে ব্যক্তিগত অর্ধশত পূরণ হয় কনওয়ের।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১০৫ রানের জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়ং। ১৭তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন শেখ মেহেদী হাসান। আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ হন ইয়ং।

দলের পক্ষে কনওয়ে ৫২ বলে ১১টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৯২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩০ বলে ৫৩ করেন উইল ইয়ং। ১০ বলে ২৪ করে অপরাজিত থাকেন গ্লেন ফিলিপস। ২৭ বলে ৩৫ করেন মার্টিন গাপটিল। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে নাসুম আহমেদ ২টি ও শেখ মেহেদী হাসান ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাশ (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ নাঈম, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।





নিউজিল্যান্ড একাদশ: মার্টিন গাপটিল, ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ে (উইকেটরক্ষক), উইল ইয়ং, গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চাপম্যান, ড্যারিল মিচেল, টিম সাউদি (অধিনায়ক), ইশ সোধি, হামিশ বেনেট ও লোকি ফার্গুসন।