টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে এবং দেশের ক্রিকেটের ভালোর জন্যই আইপিএলে খেলতে যেতে চাই : সাকিব আল হাসান

গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ দেশের সকল সংবাদমাধ্যমে বেশ আলোচনায় ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এমনকি সাকিব কে কেন্দ্র করে গতকাল বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় বৈঠকে বসে ছিল বিসিবির কয়েকজন পরিচালক।

মূলত শ্রীলংকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পরিবর্তে আইপিএলে খেলতে যাওয়ার কারণেই বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনায় ছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে গত শনিবার দেশের একটি ক্রিকেটে ভিত্তিক ওয়েবসাইট কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা বিরুদ্ধে আঙ্গুল করেন সাকিব আল হাসান।

যার মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অপারেশন্স কমিটির প্রধান আকরাম খান। এমনকি সাকিবের মন্তব্য এতটাই খবরের শিরোনাম হয়েছে যে নিউজিল্যান্ডে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের ভরাডুবির খবর পিছনে পড়ে গিয়েছে। তবে সব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

দেশের অন্যতম সেরা সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার জানিয়েছেন দেশের জন্যই আইপিএলে খেলতে চান তিনি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএলের এবারের আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্স হয়ে খেলবেন সাকিব আল হাসান।

একই দলের হয়ে খেলবেন ক্রিকেট বিশ্বের অনেক মহাতারকা। যার মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সহ প্রায় প্রতিটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। মূল একাদশে সুযোগ না পেলেও ড্রেসিংরুমে সবার সাথে কথা বলার সুযোগ পাবেন তিনি। এছাড়াও আইপিএলের পরেই ভারতে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।





যেসব মাঠে অনুষ্ঠিত হবে আইপিএলের খেলা সেসব মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খেলা। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে আইপিএলে খেলতে যেতে চান সাকিব।

প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব আল হাসান বলেন, “যাঁরা সমালোচনা করছে, তাঁদের জায়গা থেকে ঠিকই আছে। কিন্তু একটু চিন্তা করলে তাঁরাও বুঝতে পারবে, আমি কেন আইপিএলে খেলতে চাইছি।

“প্রথমত, শ্রীলঙ্কা ট্যুরটা এই সময়ে ছিল না। তাছাড়া দেখেন, আমরা এখন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলের সবার শেষে আছি। শ্রীলঙ্কার মাটিতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলা। হয়তো আমরা একটা টেস্ট জিতব, একটা হারব। তাতে কী হবে, ৭/৮ নম্বরে উঠতে পারব বলে তো মনে হয় না”।

“আর আইপিএলে আমি যে মাঠগুলোতে খেলব, কয়েক মাস পর সেই মাঠগুলোতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খেলাও হবে। আমি তো আমার এই অভিজ্ঞতা দলের অন্যদের সঙ্গেও শেয়ার করতে পারব। বাংলাদেশের আর কেউ তো আইপিএলে নাই। আরেকটা জিনিস দেখেন, আমি যে কেকেআরে খেলব, সেই দলের অনেকেই বিশ্বকাপে বিভিন্ন দলে খেলবে।





“আমি তো ওদের উইকনেসের জায়গাগুলোও জানতে পারব। যা বিশ্বকাপে কাজে লাগবে। ড্রেসিংরুমে তো এসব আলাপ হবেই–আমার এটাতে সমস্যা হচ্ছে, ওটাতে সমস্যা হচ্ছে। আইপিএলের তিন/চার মাস পরই তো ওয়ার্ল্ড কাপ। আমি তো জানব, কিছুদিন আগেই কোন প্লেয়ারের মাইন্ডসেট কেমন ছিল। অন্যদের সঙ্গে শেয়ারও করতে পারব”।