মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টানটান উত্তেজনায় আয়ারল্যান্ড এ ক্রিকেট দলের বিপক্ষে সাথে ৫ রানে জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ এইচডি ক্রিকেট দল। আগে ব্যাট করে আয়ারল্যান্ডকে ২৬১ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ এইচপি ক্রিকেট দল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড। এই জয়ে আয়ারল্যান্ড এ দলের বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজের জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ এইচপি ক্রিকেট দল।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি করোনার কারণে পরিত্যক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৪, তৃতীয় ম্যাচে ৬ এবং চতুর্থ ম্যাচে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল ইমার্জিং টাইগাররা। গতকালের ম্যাচটি ছিল আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করার ম্যাচ।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যক্তিগত ৩ রানেই সাজঘরে ফেরেন টাইগার অধিনায়ক ও ওপেনার সাইফ হাসান। আরেক ওপেনার আনিসুল হক ইমন এবং মাহমুদ হাসান জয়ের ব্যাটে চাপ সামলে দলীয় স্কোর বাড়াতে থাকে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। ইমন ফেরেন ৪১ রানে।
এরপর ক্রিজে খুঁটি গেড়ে খেলতে থাকেন মাহমুদ। এ সময় তিনি অনেকজনের সঙ্গেই জুটি গড়েন। উল্লেখ্যযোগ্য পার্টনারশিপটি ছিল উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে। দুজনে করেন ৭১ রানের জুটি। অঙ্কন ফেরেন ৩১ রানে। এদিকে নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করে মাহমুদ জয়। তার খেলা ১২৩ রানের ইনিংসটি ৯টি চার এবং ৩টি ছয়ে সাজানো।
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন মার্ক আদায়ের। এছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন অধিনায়ক হ্যারি টেক্টর এবং রুহান পিটোরিয়াস।
২৬১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শূন্যরানেই ওপেনার জেরেমি ললোরকে হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জয়ের ভিভই গড়ে দেন আরেক ওপেনার স্টিফেন দোহেনি এবং দ্বিতীয় উইকেটে খেলতে আসা মার্ক আদায়ের। দুজন মিলে ৯৭ রানের জুটি গড়েন। ৪৫ রানে আদায়ের এবং ৮১ রানে ফেরেন দোহেনি।
কিন্তু এরপর আইরিশদের হয়ে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নেইল রকের ৩৫ রান ছাড়া বলার মতো ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। তাই ম্যাচটি আর জিততে হয়নি সফরকারীদের। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন অধিনায়ক সাইফ হাসান। ম্যাচের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসান জয় ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।