নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এর আগে অনেক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেটের তিন মোড়ল ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড। ক্রিকেটকে পুরো পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সবক’টি পূর্ণাঙ্গ ও সহযোগী সদস্য দেশের কাছে টুর্নামেন্ট আয়োজনের আবেদন আহ্বান করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল।
তবে সেই প্রস্তাব পছন্দ হয়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড চায় ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সহ আইসিসির বড় টুর্নামেন্টগুলো যেন ‘বড় দেশ’গুলোতেই হয়। যেমন ভারত অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড। এমনকি সেটাই হয়ে আসছে।
২০১৫ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। এরপর ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ২০১৯ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় ইংল্যান্ডে। এবং এর পরবর্তী ২০২৩ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারতের। এছাড়াও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া।
অর্থাৎ, ২০১৫ থেকে ২০২২ মেয়াদের মতো পরবর্তী আট বছরের সব বৈশ্বিক আসরও কেবল ভারত, ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়া- এই তিন দেশ আয়োজন করবে। বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ দিতে চায় না বিসিসিআই।
তবে আইসিসির নতুন প্রস্তাব বিডিং প্রক্রিয়া অসন্তোষের কথা জানিয়েছে ভারত ক্রিকেট বোর্ড। সর্বশেষ বুধবার অনুষ্ঠিত আইসিসি সদস্যদের মিটিংয়ে যার পুনরাবৃত্তি করেছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী।
২০২৩-৩১ চক্রের জন্য আইসিসির পরিকল্পনা অনুসারে প্রতিবছরই একটি করে বড় টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ, ২০ ওভারের বিশ্বকাপ, আইসিসি সুপার লিগ, ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, পুরুষ ও নারী ক্রিকেট মিলিয়ে মোট ২০ টুর্নামেন্ট থাকছে আট বছরের মধ্যে।
কিন্তু এতগুলো আইসিসির ইভেন্ট থাকলেও দ্বিপক্ষীয় লাভজনক সিরিজের (ভারত-অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া, ভারত-ইংল্যান্ড) সময় বের করা যাবে না বলে টুর্নামেন্ট কমাতে চায় ‘বিগ থ্রি’ নামে পরিচিত ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
একইভাবে বিডিং প্রক্রিয়া বাদ দিলে নিজেরাই বড় আসরগুলো আয়োজন করতে চায় তারা। বিসিসিআই অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে সহ-আয়োজক রেখে আফ্রিকা মহাদেশে একটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে একটি টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন পর্যন্ত ছাড় দিতে রাজি আছে। মার্চে আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে এ নিয়ে আরও আলোচনা হবে।