অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড

ক্রাইস্টচার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫৩ রানে জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এই দিন আগে ব্যাট করতে নেমে ডেভন কনওয়ের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ১৮৪ রানের ইনিংস দাঁড় করিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এর পুরো কৃতিত্ব ২৯ বছর বয়সী ডেভন কনওয়ের। তার ৯৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করেই ধ্বংসস্তূপের মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কিউইরা।





দলীয় ১৯ রানের মাথায় তিনটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। এরপরে ব্যাটিংয়ে নেমে তাণ্ডব চালাতে থাকেন ডেভন কনওয়ে। বিশ্ব রেকর্ড করে তিনি করেছেন ৯৯ রান। তৃতীয় উইকেট পার্টনারশিপে গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে ৭৪ রান যোগ করেন ডেভন। এ জুটিতে ফিলিপসের অবদান ছিল ২০ বলে ৩০ রান।

দলীয় সংগ্রহ একশ হওয়ার আগেই ফিলিপস ফিরে যান। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এ বাঁহাতি নিজের ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন ৩৬ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ের মারে। এরপর আরও চওড়া হয় তার ব্যাট। তবু শেষপর্যন্ত মাত্র ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে।

কিউই ইনিংসে শেষ ওভারের আগে ডেভন অপরাজিত ছিলেন ৮৭ রানে। কেন রিচার্ডসনের সেই ওভারে ৪টি বল মোকাবিলা করেন ডেভন। যেখানে একটি করে চার-ছয়ের মারে নিতে পারেন ১২ রান। শেষ বলে যখন সেঞ্চুরি থেকে দুই রান দূরে তিনি, তখন এক রান নিতে সক্ষম হন, ফলে ইনিংস থামে ঠিক ৯৯ রানে।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ট্রেন্ট বোল্ট আর টিম সাউদির তোপে ১৯ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে পড়ে অসিরা। পরে আর লড়াইয়ে ফিরতে পারেনি।

মিচেল মার্শ কিছুটা চেষ্টা করলেও ৩৩ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে তিনি যখন সাজঘরে ফিরছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার রান একশও নিচে (৯৮/৬)। শেষ পর্যন্ত ১৫ বাকি থাকতে অসিদের ইনিংস থেমেছে ১৩১ রানে।





কিউই বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন ইশ সোধি। ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন এই লেগস্পিনার। তবে তিনি দৃশ্যপটে এসেছেন আরও পরে। দুটি করে উইকেট শিকার করে সাউদি-বোল্ট জুটিই অসিদের ব্যাটিং মেরুদণ্ডটা ভেঙে দিয়েছিলেন।