ওয়ানডে সিরিজের মত টেস্ট সিরিজেও সাফল্য দেখতে চান প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর এবারে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডে দলের থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্টের দল কিছুটা হলেও পরিণত। যার প্রমাণ তারা প্রস্তুতি ম্যাচে দিয়েছে।





ওয়ানডে সিরিজ সহজে জয়লাভ করলেও টেস্ট সিরিজ জয়ের জন্য কিছুটা হলেও কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। টেস্ট সিরিজে সাফল্য পেতে হলে ক্রিকেটারদের সেরাটা দিয়ে খেলতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু করছে বাংলাদেশ। গতকাল (রবিবার) মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট সবসময় আলাদা বলের খেলা। এটি এমন ফরম্যাট যা আগে থেকেই আপনি কিছু বলতে পারবেন না।’

তিনি আরো বলেন, ‘অভিজ্ঞতার দিক থেকে ওয়ানডে দলের চেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট দল অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশে আসা তাদের দলে ভারসাম্য রয়েছে এবং তাদের পেসাররাও বেশ অভিজ্ঞ। তাই আমাদের সেরা খেলা খেলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘কোন খেলোয়াড়, কী ধরনের দল এবং কোন ধরনের আক্রমণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিয়ে এসেছে, তা উদ্বেগের বিষয় নয়। আমাদের বিশ্বাস আমরা যদি নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারি, তবে টেস্ট সিরিজেও ভাল ফলাফল বের করে আনতে পারব।’

টেস্টে সাকিব-তাইজুল-মিরাজ ও নাঈমকে নিয়ে স্পিন আক্রমন বজায় রাখার পাশাপাশি পেসারদেরও খেলাতে পারে বাংলাদেশ। স্কোয়াডটি কেন ১৮ সদস্যের এবং সেখানে পেসারদের উপস্থিতি কেন বেশি সেটিও ব্যাখা দিয়েছেন মিনহাজুল।

তিনি বলেন, ‘প্রথমত কোভিড-১৯ পরিস্থিতির জন্য, আমাদের দলটি বড় করতে হয়েছে। কারণ আপনি জানেন না, এই পরিস্থিতিতে কী ঘটতে পারে। আর দীর্ঘদিন পর পাঁচদিনের ম্যাচ খেলব তাই পেসারদের জন্য চাপ তৈরি হতে পারে এমন সম্ভাবনাও রয়েছে”।





“এজন্যই স্কোয়াডে পেসার বেশি, যাতে খেলোয়াড় পরিবর্তনে আমাদের হাতে যথেষ্ট পরিমাণে বিকল্প থাকে। ইনজুরি অথবা অসুস্থতা ও জৈব-সুরক্ষা পরিবেশের বিষয়ের কারণে তাৎক্ষনিকভাবে খেলোয়াড় পরিবর্তন করা কঠিন।’