নিজের কিপ্টেমির রেকর্ড ভেঙে চরম কিপ্টেমির পরিচয় দিয়ে রেকর্ড গড়লেন সাকিব আল হাসান

দীর্ঘ ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। কিন্তু তার থেকেও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বাইরে রয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলে অনেক অনিশ্চয়তা ছিল সাকিব আল হাসানকে নিয়ে।





কিন্তু সাকিব দেখালেন, বোঝালেন, নিশ্চিত করালেন এখনো সেই সাকিব তেমনি রয়েছেন। টসে জিতে প্রথমে বোলিং করতে নেমে মুস্তাফিজুর রহমানের কাটা গায়ে লবণের ছিটা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। মুস্তাফিজুর রহমানের দুই উইকেটের নেয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ব্যাটিং অর্ডার দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছেন সাকিব।

ইনিংসের ১১তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই উইকেটের দেখা পান সাকিব। দ্বিতীয় বলেই তাঁর বাঁকের কাছে হার মেনে স্লিপে উইকেট দিতে বসেছিলেন আন্দ্রে ম্যাকার্থি। তাঁকে পরে ‘ফ্লাইট’-এ পরাস্ত করে বোল্ড করেছেন সাকিব।

এরপর সামনে দুই ফিল্ডার রেখে চেপে ধরেছিলেন পুরোপুরি। ম্যাকার্থির উইকেট তাঁকে এনে দিয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ১৫০তম উইকেট। তবে সাকিব এই অর্জনের চেয়েও খুশি হবেন ফেরার ম্যাচে লাইন-লেংথ ঠিক রেখে বল করতে পারায়।

সামনে দুজন ফিল্ডার থাকায় ক্যারিবীয়রাও স্বাভাবিকভাবে তাঁর স্পিন খেলতে পারেনি। ভালো লেংথের বলগুলো সামনের দুই ফিল্ডারের হাতেই জমা পড়েছে। সাকিবকে হাত খুলে সেভাবে আক্রমণ করতে পারেননি কোনো ব্যাটসম্যান। তাঁর বোলিং ফিগারে তাই কোনো বাউন্ডারি হজম নেই।

৪৪টি বল করে ২টি মেডেন নিয়েছেন সাকিব। আর ৮ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংসে সবচেয়ে কিপটে বোলিংয়ের রেকর্ডটি সাকিব গড়েছিলেন এক যুগ আগে।





সময়ের হিসেবে এক যুগ ১ দিন আগে! মানে ২০০৯ সালের ১৯ জানুয়ারি এই শেরেবাংলাতেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০ ওভারে ৪ মেডেনসহ ১১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। ইকোনমি রেট ছিল ১.১০। আজ ২০ জানুয়ারি নিজের সেই রেকর্ডটি নতুন করে লেখালেন সাকিব। আজ সাকিব ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ১.০৯।