দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে তামিম ইকবালের ৮০ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ৮ উইকেটে জয়লাভ করলো তামিম একাদশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের আগে বিকেএসপিতে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে প্রাথমিক দলে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটাররা। গত ১৪ জানুয়ারি প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল মাহমুদুল্লা একাদশ এবং তামিম একাদশ। এরপর আজ আবারো বিকেএসপিতে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে তামিম একাদশ এবং মাহমুদুল্লাহ একাদশ।

দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে তামিম একাদশের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৪৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান সংগ্রহ করে মাহমুদুল্লাহ একাদশ। জবাবে ব্যাট করতে দেবে তামিম ইকবালের ৮০ রানের ইনিংসে ৮ উইকেটে জয় লাভ করেছে তামিম একাদশ।

২২৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস দুজনই দারুণ শুরু করেন। ব্যক্তিগত ৪৮ রানে লিটন হাসান মাহমুদের বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর তামিমকে সঙ্গ দিতে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মূলত অধিনায়ক তামিম এবং শান্তর ব্যাটে ভর করেই বড় জয় পেয়েছে দলটি।

শান্ত ৫১ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে তাসকিন আহমেদের বলে সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে তামিমও ৮০ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ১৭ বলে ১৭ এবং সৌম্য সরকার ১২ বলে ১২ করে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে, ৪৫ ওভারের এই প্রস্তুতি ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ একাদশ নির্ধারিত ৪৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২২৩ রান যোগ করে। নাইম ও ইয়াসির আলি রাব্বির উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪৫ রান।





৩৬ বলে ২৪ রান করে মেহেদি হাসানের বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন রাব্বি। এরপরই ক্রিজে ব্যাট করতে নামেন সাকিব। নাইমকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে করেন ৫০ রান। একই সংখ্যক রান করে মেহেদির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান নাইম।

ঠিক হাফ সেঞ্চুরি করতে নাইম খেলেছেন ৬৮ বল। যেখানে ২টি ছয় ও ৪ টি চার হাঁকিয়েছেন তিনি। ব্যাট হাতে ধুঁকতে থাকা সাকিব শুরুটা করেন একটু ধীরে-সুস্থে, উইকেটের পরিস্থিতির বুঝে। ৫২ রান করতে তিনি খেলেছেন মোট ৮২ বল। চার এবং ছয় হাঁকিয়েছেন মাত্র ১টি।

৩৬ ওভারে দলীয় ১৬৮ রানের মাথায় নাসুম আহম্মেদের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে তিনিও সাজঘরের পথ ধরেন। এছাড়া মোসাদ্দেক হোসেন ৩১ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ১১ রানের ইনিংস খেলেন।

তামিম একাদশের হয়ে এদিন দুর্দান্ত বল করেছেন মেহেদি হাসান। ৯ ওভারে ৩১ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন খরুচে বোলিং করলেও তিনিও ২ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহম্মেদ এবং রুবেলের শিকার ১ টি করে উইকেট।

তামিম একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেন, মাহাদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাসুম আহমেদ, রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।





মাহমুদউল্লাহ একাদশ: ইয়াসির আলী, নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, আল-আমিন হোসেন ও শরীফুল ইসলাম।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড
মাহমুদউল্লাহ একাদশ: ২২৩/৭, (৪৫ ওভারে) (সাকিব ৫২, নাইম ৫০, মোসাদ্দেক ৩১, মুশফিক ২৫, মিরাজ ১১, তাইজুল ৪*; মেহেদি ২/৩১, সাইফউদ্দিন ২/৬২, মুস্তাফিজ ১/৩৭, রুবেল ১/৪৪, নাসুম ১/৩৩)
তামিম একাদশ: ২২৪/২ (৩৫.২ ওভারে) (তামিম ৮০ (রিঃ), লিটন ৪৮, শান্ত ৬১, সৌম্য ১২*, মিঠুন ১৭*; তাসকিন ১/৪৫, হাসান ১/৩১)