কিছুটা হতাশ হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমির। কিছুদিন আগে মাত্র ২৮ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। এরপর তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে কথার লড়াই। একদিকে পাকিস্তান জাতীয় দলের কোচ মিসবাহ উল হক জানিয়েছেন পারফরমেন্সের কারণেই দল থেকে বাদ পড়েছেন তিনি।
পাকিস্তান কোচ জানান, বাঁহাতি এই পেসারের বাদ পড়ার পেছনে ব্যক্তিগত কোনো ইস্যু নেই, বরং পারফরম্যান্সের কারণেই জায়গা হারিয়েছেন। এছাড়াও আমিরকে আলাদা করে কাঠগড়ায় তুলেছেন পাকিস্তান দলের কিংবদন্তি পেসার ও বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুস।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার ওয়াকার ইউনুস জানিয়েছেন আমির অবসর নেওয়ার কষ্ট পেয়েছেন তিনি। এদিকে এবার ওয়াকার-মিসবাহ দুজনকেই পাল্টা দিলেন আমির। ওয়াকার কষ্ট পাওয়ায় নাকি তার ভালো লাগছে।
পারফরম্যান্সের কারণে বাদ পড়েছেন, মিসবাহর এমন যুক্তিও হাস্যকর লাগছে সদ্য সাবেক হওয়া পাকিস্তানি গতিতারকার। ‘খেলোয়াড়দের কিছু জায়গা এবং স্বাধীনতা দিন। ড্রেসিংরুমে এই ভীতি জাগানিয়া পরিবেশের ইতি টানুন। তাহলে এই খেলোয়াড়রাই আপনাকে ম্যাচ জেতাবে।’
তবে বাজে পারফরমেন্সের কারণে দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে এটা মানতে নারাজ মোহাম্মদ আমির। উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলকে টেনে এনেছেন তিনি। সাবেক এই গতিতারকা বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ২১ উইকেট নেওয়ার পরের ম্যাচেই আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এটা যদি ব্যক্তিগত ইস্যু না হয়, তাহলে কোনটি?’
মিসবাহ আমিরকে বাদ দেয়ার পেছনে গতি কমে যাওয়াকেও বড় একটা কারণ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু একেও খোঁড়া যুক্তি মনে করছেন আমির। তিনি বলেন, ‘আমার গতি কিছুটা কমে গিয়েছিল কারণ আমি পুরোপুরি ফিট ছিলাম না। অবসাদে ভুগছিলাম। যখন আমি লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে যাই, উজ্জীবিত ছিলাম, আমি কিন্তু ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করেছি।’
এখানেই শেষ নয়। মিসবাহ আর ওয়াকারের কোচিং করানোর যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে বসেছেন ২৮ বছর বয়সী আমির। দুই কোচ দুই রকম কথা বলে খেলোয়াড়দের বিভ্রান্ত করেন, এমন অভিযোগও তুললেন এই পেসার।
আমিরের ভাষায়, ‘এক কোচ বলেন, গতি কোনো ব্যাপার নয়, (প্রতিপক্ষের) ২০ উইকেট নেয়াই আসল ব্যাপার। আরেক কোচ বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গতিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কার কথা বিশ্বাস করব? প্রথমে চিন্তা করুন কি বলতে চান, তারপর আমিরকে শেখাতে আসবেন।’