এক বছর পর সাকিব ভাই ফিরে এসেছে। এ অন্যরকম ভালোলাগা : মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন

দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ঘরের মাঠের ২০ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ। এই সিরিজের মধ্য দিয়ে আবারও মাঠে ফিরে যাচ্ছে ক্রিকেটাররা।





বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের মধ্যে দারুন এক প্রতিযোগিতা চলছে ক্রিকেটারদের মধ্যে। আর সেই প্রতিযোগিতা হচ্ছে দলে টিকে থাকার প্রতিযোগিতা। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ফাস্ট বোলিং ডিপার্টমেন্টে রয়েছে ৮ থেকে ১০ জন ফাস্ট বোলার। যারা সবাই রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে।

তবে জাতীয় দলে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই এক্সট্রা অডিনারি পারফরম্যান্স করতে হবে। দলে সুযোগ পাওয়ার প্রতিদ্বন্দিতা বেড়ে যাওয়ার জন্য সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ইনজুরিতে পড়েছিলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

ইনজুরি থেকে ফিরে এখন পুরোদমে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সিরিজ শুরু হওয়ার আগে সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে পেরে দারুণ খুশি তিনি। আজ অনুশীলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন, ‘সিরিজের আগে সেরে উঠতে পারব কি না এ নিয়ে খুব টেনশনে ছিলাম”।

“গত কয়েকটা দিন বায়েজিদ ভাই, শাওন ভাই আমাকে খুব সহায়তা করেছেন। উনাদের নির্দেশনা মেনে গত কয়েকদিন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অংশ নিলাম। সব মিলিয়ে খুব উপভোগ করছি। সামনে আরও কয়দিন প্র্যাকটিসের সুযোগ পাব। প্র্যাকটিস ম্যাচও আছে।’

নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দলে প্রতিদ্বন্ধিতায় বেড়ে যাওয়াই আরো ভালো করার চেষ্টা করছেন তিনি। “গত তিন দিন অনেক হাই ইনটেনসিভ প্র্যাকটিস হয়েছে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সবই করলাম। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ এই দুইটা টুর্নামেন্টে আমাদের পেস বোলাররা যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করেছে। যার কারণে সেরা একাদশে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়ে গেছে। এজন্য নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। বাকিটা আল্লাহর হাতে।’

ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে খেলে অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার হাতছানি। খুব স্বাভাবিকভাবেই আর সবার মত সাইফউদ্দীনও পুলকিত। রোমাঞ্চিত। তবে তার সবচেয়ে বড় ভাললাগার কারণ হলো সাকিব আল হাসানের ফিরে আসা। নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হয়ে সাকিব ফিরে এসেছেন, এই ভেবে দারুণ খুশি সাইফউদ্দীন।





তার কাছে সাকিবের আবার জাতীয় দলে ফেরাটা একটা অন্যরকম পাওয়া ও ভাললাগা। ‘অনেক খুশির বিষয়, প্রকাশ করার মত নয়। ঘরবন্দী ছিলাম, এর মধ্যে ঘরোয়া খেললাম। আসলে জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা সবসময় গর্বের বিষয়। আর সবচেয়ে বড় কথা আমাদের মাঝে এক বছর পর সাকিব ভাই ফিরে এসেছে। এ কারণে ভালো লাগাটা অন্যরকম। আর যেহেতু ঘরের মাঠে আমাদের হোম সিরিজ তাই বাড়তি উদ্দীপনা জোগাচ্ছে আমাদের।’