আইসিসির দশক সেরা একাদশে জায়গা করে নিয়ে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন সাকিব আল হাসান

বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশকে অনেক গৌরবময় অর্জন এনে দিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। জুয়াড়িদের কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাব গোপন রাখার কারণে এক বছর ক্রিকেট খেলতে পারেননি সাকিব আল হাসান।





তবে গত ১০ বছরে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আইসিসির দশক সেরা ওয়ানডে একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সাকিব খেলেছেন ১৩১ ওয়ানডে। ৩৮.৮৭ গড়ে রান করেছেন ৪২৭৬টি। সেঞ্চুরি আছে ৫টি।

বল হাতে উইকেট পেয়েছেন ১৭৭টি। বোলিং গড় ৩০.১৫। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০১৯ বিশ্বকাপে ২৯ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেন যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। এছাড়া ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২০৬ ম্যাচে করেছেন ৬৩২৩ রান। সেঞ্চুরি ৯টি। বল হাতে নিয়েছেন ২৬০ উইকেট।

সাকিবের এই অর্জনে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের বর্তমান ক্রিকেটাররা এবং সাবেক ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলেছেন,

“এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও সাকিবের জন্য বড় অর্জন ও সম্মানের বিষয়। সাকিবের এই অর্জন তরুণ খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করবে, উৎসাহিত করবে। তরুণদের ক্রিকেটারদের কাছে এটা মাইলফলক হিসেবে থাকবে।”

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান খালেদ মাহমুদ পাইলট বলেছেন, “এটা অবশ্যই বিশাল বড় অর্জন। সাকিব ১০ বছরের সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছে এটা অনেক ভালো বিষয়। এটা অন্য খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করবে। এরকম বড় অর্জনগুলো আমাদের ক্রিকেটকে আরো উন্নত করবে। তরুণ প্রজন্ম তাকে দেখে উৎসাহী হবে।”

এদিকে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, “প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে আইসিসির সবগুলো ফরম্যাটে ভালো খেলা। আইসিসির সেরা একাদশে জায়গা পাওয়া স্বপ্নের মতো। সাকিব ভাই আমার একজন পছন্দের খেলোয়াড়”।





“উনাকে আমি অনুসরণ করি সবসময়। উনাকে দেখে সবসময় উৎসাহী হই। উনার ক্রিকেট ক্যারিয়ার, উনি যেভাবে দেশকে উপস্থাপন করছে এগুলো অনুসরণ করি। আমিও স্বপ্ন দেখি সাকিব ভাইয়ের মতো বড় কিছু করার। ভালো কিছু হবে ইনশাআল্লাহ।”