অবশেষে দীর্ঘ দিনের অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে। গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা হয়নি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দীর্ঘ ৯ মাস পর আগামী জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে এবং দুই ম্যাচের টেস্ট ম্যাচ খেলতে আগামী ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফরে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় ক্রিকেট দল। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরায় দল নির্বাচনে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নির্বাচকদের। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার।
তাই এখনই চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াড।
ওই দুই ম্যাচের পারফরমেন্সের উপর ভিক্তি করেই চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করবে বিসিবি এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। এই লক্ষ্যে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে।
‘আমরা এখনও স্কোয়াড নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তবে ওয়ানডে ম্যাচের জন্য আমরা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করবো। এই স্কোয়াড জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যেই থাকবে। আগামী ১৪ ও ১৬ জানুয়ারি প্রাথমিক স্কোয়াড দুই ভাগে ভাগ হয়ে দুটি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলবে। এরপরই আমরা চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করতে পারবো।’
তবে চূড়ান্ত স্কোয়াডের তেমন পরিবর্তন আসবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। যদি স্কোয়াড বড় হয় ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন হয়তো আসবে। তুমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেরা স্কোয়াড নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে বেশ কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন উঠেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার খেলা নিয়ে।
দলে জায়গা করে নিতে হলে তাকে তার যোগ্যতা দেখাতেই হবে। অবশ্য মাশরাফি ওয়ানডে দলে থাকবেন কিনা সেটি নির্ভর করছে ১৪ ও ১৬ জানুয়ারির দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরম্যান্সের ওপর।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুলের কথায় তেমনই ইঙ্গিত, ‘আমরা এখনও স্কোয়াড নিয়ে বসিনি। আগামী ২৮ কিংবা ২৯ তারিখে সভা আছে। সেখানে বসেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো”। প্রাথমিক স্কোয়াডে মাশরাফি থাকবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘সভাতে বসেই আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।’