পাকিস্তান ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে আমির : ইনজামাম-উল-হক

২০০৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় মোহাম্মদ আমিরের। পরের বছর লর্ডস টেস্টে ফিক্সিং করে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হন তিনি। নিষেধাজ্ঞা শেষে মাঠে ফিরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন আমির। কিন্তু দলে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করতে পারেননি।

রঙিন পোশাকে দীর্ঘদিন ধরে খেলার জন্য গত বছর টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। কিন্তু এরপর সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকেও বাদ পড়েন তিনি। এবার নিউজিল্যান্ডের সফরে টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা না হওয়ায়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন ২৮ বছর বয়সী আমির।

অবসর টা অবশ্য তিনি নিয়েছেন ক্ষোভ-দুঃখে। পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যানেজমেন্টের বিপক্ষে ক্ষোভ জানিয়ে ক্রিকেটকে বিদায় দেন আমির। এইসময় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

আমিরের এভাবে বিদায় বলাটা মোটেও ভালো লাগেনি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হকের। তার মতে, পাকিস্তান ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে আমির।





বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে আমির প্রসঙ্গে ইনজামাম বলেন, ‘আমির যেভাবে অবসর নিয়েছে, তা মোটেও সঠিক পন্থা ছিল না। আমাদের ক্রিকেট এবং এর ভাবমূর্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে সে। তার আরো বেশি সচেনতা অবলম্বন করা উচিত ছিল।’

নিজের অবসর নিয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর আমির বলেন, ‘দলের ভেতরের পরিবেশ একদমই ভালো নয়। নিউজিল্যান্ড সফরে ৩৫ জন সদস্যের মধ্যেও যখন আমাকে রাখা হয়নি। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম, এই ম্যানেজমেন্টের অধীনে আমার পক্ষে খেলা সম্ভব নয়। আমার মনে হয়”,

“এখন ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোই সবচেয়ে ভাল। আমাকে মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়েছে। পিসিবি আমাকে বহু যন্ত্রণা দিয়েছে। আমার উপরে অত্যাচার করেছে।”

আমিরের ওই বক্তব্যের রেশ টেনে ইনজামাম বলেন, ‘তিনি যদি টিম ম্যানেজমেন্টের একজন বা দুজনের ওপর অসন্তুষ্ট হন তবে তাকে প্রথমে প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হকের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা উচিত ছিল”।





“প্রয়োজনে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথেও আলোচনা করতে পারত। কিন্তু তিনি তা করেনি, যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই তার এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন ছিল।”