লিটন দাস এবং মোহাম্মদ মিঠুনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ঢাকাকে হারিয়ে ফাইনালে চট্টগ্রাম

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে মঙ্গলবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে 8 উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১১৬ রান করে অলআউট হয় বেক্সিমকো ঢাকা।

জবাবে মোহাম্মদ মিঠুন এবং লিটন দাসের দায়িত্বশীল ব্যাটিং ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায়।

দলীয় ১৯ রানে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ হন সাব্বির রহমান। দলীয় ১৯ রানেই ফেরেন অপর ওপেনার মুক্তার আলী। এরপর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও নাঈম শেখ। নবম ওভারে ডিপ মিডউইকেটে নাদিফ চৌধুরীর হাতে ক্যাচ হন নাঈম।

অধিনায়ক মুশফিক উইকেটে টিকে থাকলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। দলীয় ৭৫ রানে মোসাদ্দেকের শিকার হন তিনি। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ডাইভ দিয়ে দুর্দান্ত একটি ক্যাচ নেন রাকিবুল।

ভরসা ছিল ইয়াসির আলীকে নিয়ে। কিন্তু ২১ বলে ২৪ রান করে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন তিনি। আকবর আলীও উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।





১৮তম ওভারে মোস্তাফিজ বোলিংয়ে এসে পরপর দুই বলে যথাক্রমে আল-আমিন ও নাসুম আহমেদকে বিদায় করেন। শেষ ওভারে আউট হন রুবেল ও শফিকুল।

১১৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করে দুই ওপেনার ব্যাটসম্যান লিটন দাস এবং সৌম্য সরকার। দলীয় ৪৪ রানের মাথায় রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সৌম্য সরকার। ২৩ বলে পাঁচটি চার হাঁকিয়ে ২৭ রান করেন সৌম্য সরকার।

তবে ব্যাটিংয়ে নেমে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেছেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন এবং লিটন দাস। তবে ইনিংসের ১৭ তম ওভারে এই দুইজনের ৫৫ রানের পার্টনারশিপ ভেঙে খেলা জমিয়ে দেন আল-আমিন জুনিয়র।

৪৯ বলে চারটি চারের সাহায্যে ৪০ রান করে আউট হন লিটন দাস। পথের ওভারেই অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের উদ্ভিদ তুলে নেন মুক্তার আলী। ৩৪ রান করে আউট হন মোহাম্মদ মিঠুন। তবে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলেন শামসুর রহমান।

বেক্সিমকো ঢাকা একাদশ: নাঈম শেখ, সাব্বির রহমান, আল-আমিন, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), ইয়াসির আলী, আকবর আলী, মুক্তার আলী, রবিউল ইসলাম রবি, নাসুম আহমেদ, রুবেল হোসেন, শফিকুল ইসলাম।





গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম একাদশ: লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিথুন (অধিনায়ক), মোসাদ্দেক হোসেন, শামসুর রহমান, সৈকত আলী, নাহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান, নাদিফ চৌধুরী।