বিধ্বংসী বোলিং করলেন মাশরাফি। মাশরাফি বিন মুর্তজার ৫ উইকেটে চট্টগ্রাম ৪৭ রানে হারিয়ে ফাইনালে জেমকন খুলনা

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ৪৭ রানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে খুলনা। বল হাতে এই দিনে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন মাশরাফি। সোমবার প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে জেমকন খুলনার বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে জহুরুল ইসলাম অমির ৮০ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২১০ রান সংগ্রহ করেছে খুলনা। জবাবে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করে দুই ওপেনার ব্যাটসম্যান জহুরুল ইসলাম অমি এবং জাকির হাসান। ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন জহুরুল ইসলাম। চারটি চার এবং দুটি ছক্কায় সাহায্যে এই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।

উদ্বোধনী জুটিতে এই দুইজন যোগ করেন ৭১ রান। ব্যক্তিগত ১৬ রান করে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন জাকির হাসান। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বংসী রূপে খেলতে থাকেন ইমরুল কায়েস। তার সেই ঝড় থামার মোস্তাফিজুর রহমান।

দলীয় ১১৯ রানের মাথায় ১২ বলে তিন টিচার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ২৫ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হন ইমরুল কায়েস। তবে অন্য প্রান্ত থেকে সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকেন জহুরুল ইসলাম। ব্যক্তিগত ৮০ রানের মাথায় তাকে থামিয়ে দেন মোসাদ্দেক হোসেন।

৫১ বলে ৫ টিচার এবং চারটি ছক্কা সাহায্যে ৮০ রান করে আউট হন তিনি। জহুরুল আউট হওয়ার পর রানের চাকা সচল রাখেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শরিফুলের তিন বলে ৩ টি ছক্কা হাঁকান তিনি।





তবে ইনিংসে বড় করতে পারেনি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৯ বলে ২ টিচার এবং তিনটি ছক্কার সাহায্যে ৩০ রান করে সনজিৎ সাহারা বলে আউট হন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

তবে এই দিন ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। শেষের দিকে ১৫ বলে ২ টি চার এবং দুটি ছক্কার সাহায্যে ২৮ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হন সাকিব।

খুলনার দেওয়া ২১১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চট্টগ্রামের দুই গুরুত্বপূর্ণ ওপেনার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার এবং লিটন দাসের উইকেট তুলে নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।

ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ০ রানে সৌম্য সরকারের উইকেট তুলে নেন মাশরাফি। এরপর ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে তুলে নেন লিটন দাসের উইকেট। ১৩ বলে ২ টিচার এবং দুটি ছক্কা সাহায্যে ২৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন।

তবে এর পরে ঘুরে দাঁড়ায় চট্টগ্রাম। মাহমুদুল হাসান জয় এবং অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটিংয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে চট্টগ্রাম। তবে এই দুইজনের ৭৩ রানের পার্টনারশিপ ভেঙে আবারো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন মাশরাফি। ২৭ বলে ৩১ রান করে মাশরাফির বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়।

এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি চট্টগ্রাম। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আরিফুল হকের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ৩৫ বলে ৩ টিচার এবং তিনটি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ রান করে আউট হন মিঠুন। এরপর ১৭ রান করা মোসাদ্দেক হোসেনের উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান।

৫ রান করা সৈকত আলী উইকেট তুলে নেন হাসান মাহমুদ। নিজের শেষ ওভারে এসে উইকেটের দেখা পেয়েছেন মাশরাফি। ১৮ রান করা শামসুর রহমানের উইকেট তুলে নেন তিনি। ওই ওভারেই মুস্তাফিজুর রহমানের উইকেট তুলে নেন মাশরাফি। ৪ ওভারে ৩৫ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন মাশরাফি।

জেমকন খুলনা একাদশ: জহুরুল ইসলাম, জাকির হাসান (উইকেটরক্ষক), ইমরুল কায়েস, হাসান মাহমুদ, আল-আমিন হোসেন, শামীম হোসেন, আরিফুল হক, শুভাগত হোম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা।





গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম একাদশ: মোহাম্মদ মিথুন (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন, শামসুর রহমান, সৈকত আলী, নাহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, সঞ্জিত সাহা।