বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে সোমবার প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে জেমকন খুলনার বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে জহুরুল ইসলাম অমির ৮০ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২১০ রান সংগ্রহ করেছে খুলনা।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করে দুই ওপেনার ব্যাটসম্যান জহুরুল ইসলাম অমি এবং জাকির হাসান। ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন জহুরুল ইসলাম। চারটি চার এবং দুটি ছক্কায় সাহায্যে এই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।
উদ্বোধনী জুটিতে এই দুইজন যোগ করেন ৭১ রান। ব্যক্তিগত ১৬ রান করে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন জাকির হাসান। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বংসী রূপে খেলতে থাকেন ইমরুল কায়েস। তার সেই ঝড় থামার মোস্তাফিজুর রহমান।
দলীয় ১১৯ রানের মাথায় ১২ বলে তিন টিচার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ২৫ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হন ইমরুল কায়েস। তবে অন্য প্রান্ত থেকে সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকেন জহুরুল ইসলাম। ব্যক্তিগত ৮০ রানের মাথায় তাকে থামিয়ে দেন মোসাদ্দেক হোসেন।
৫১ বলে ৫ টিচার এবং চারটি ছক্কা সাহায্যে ৮০ রান করে আউট হন তিনি। জহুরুল আউট হওয়ার পর রানের চাকা সচল রাখেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শরিফুলের তিন বলে ৩ টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
তবে ইনিংসে বড় করতে পারেনি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৯ বলে ২ টিচার এবং তিনটি ছক্কার সাহায্যে ৩০ রান করে সনজিৎ সাহারা বলে আউট হন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
তবে এই দিন ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। শেষের দিকে ১৫ বলে ২ টি চার এবং দুটি ছক্কার সাহায্যে ২৮ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হন সাকিব।
এই ম্যাচে যারা জিতবে তারা ফাইনালে উঠে যাবে। আর যারা হারবে তারা ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামীকাল (মঙ্গলবার) বেক্সিমকো ঢাকার মুখোমুখি হবে। আজ এলিমিনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৯ রানে হারিয়েছে ঢাকা।
লিগ পর্বে দুইবার মুখোমুখি হয় খুলনা-চট্টগ্রাম। দুই ম্যাচেই চট্টগ্রাম জয় পায়। লিগ পর্ব শেষে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে ছিল চট্টগ্রাম। আর ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল খুলনা।
জেমকন খুলনা একাদশ: জহুরুল ইসলাম, জাকির হাসান (উইকেটরক্ষক), ইমরুল কায়েস, হাসান মাহমুদ, আল-আমিন হোসেন, শামীম হোসেন, আরিফুল হক, শুভাগত হোম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম একাদশ: মোহাম্মদ মিথুন (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন, শামসুর রহমান, সৈকত আলী, নাহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, সঞ্জিত সাহা।