বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৩৬ রানে হেরেছে মিনিস্টার করুক রাজশাহী। এই ম্যাচে হারের ফলে প্লে-অফে খেলা অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে রাজশাহীর। তার কারণ আজকের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে বরিশাল জয়লাভ করতে পারে তাহলে প্লে-অফ খেলবে বরিশাল। আর যদি বরিশাল হেরে যায় তাহলে প্লে-অফে উঠে যাবে রাজশাহী।
আজকের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের ১৭৫ রান সংগ্রহ করে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩৯ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী।
দিনের শুরুতেই টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুন খেলছে দুই ওপেনারের সৌম্য সরকার এবং লিটন দাস।দুই জনই তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। ৪০ বলে ২ টিচার এবং ৩টি ছক্কায় সাহায্যে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সৌম্য সরকার।
অন্য প্রান্তে ৩৮ বলে ৫ টিচার এবং ১টি ছক্কায় সাহায্যে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লিটন দাস। তবে হঠাৎ করেই ছন্দ পতন হয় চট্টগ্রামের। ১২২ থেকে ১৩২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে চট্টগ্রাম।
৪৮ বলে ৩ টিচার এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৬৪ রান করে আনিসুল ইসলাম ইমনের বলে আউট হন সৌম্য সরকার। এরপরে রেজাউর রহমানের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন দাস। ৪৩ বলে ৫ টিচার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ রান করেন তিনি।
এরপর দুই রান করেই আনিসুর রহমানের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ৩ রান করে সাইফুদ্দিনের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মোসাদ্দেক হোসেন।
তবে শেষের দুই ওভারে শামসুর রহমান ব্যাটিং তাণ্ডব চালান। ১৮ বলে একটি চার এবং তিনটি ছক্কা সাহায্যে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন শামসুর রহমান। জিয়াউর রহমান অপরাজিত থাকেন ১০ রান করে।
১৭৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩৩ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে প্রথমেই বিপদে পড়ে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। তিনটি উইকেটই তুলে নেন নাহিদুল ইসলাম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন করেন ৪ রান।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ফেরেন ১১ রান করে। এবং রনি তালুকদার করেন ১৬ রান। এরপর ৩৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন ফজলে মাহমুদ এবং কাজী নুরুল হাসান সোহান। এই দুইজনের পার্টনারশিপ ভাঙ্গেন স্পিনার রকিবুল হাসান। ১৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফজলে মাহমুদ।
এরপর কিছুটা ব্যাটিং তাণ্ডব চালান মেহেদী হাসান। ১৭ বলে ৩ টি ছক্কার ২৬ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। রাজশাহী শেষ ভরসা কাজী নুরুল হাসান সোহানকে ২৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মোস্তাফিজুর রহমান।
নাহিদুল ইসলাম ১৯ রানে লাভ করেন তিনটি উইকেট। ২ উইকেট লাভ করেন জিয়াউর রহমান। এছাড়াও শরিফুল ইসলাম, রকিবুল ইসলাম এবং মুস্তাফিজুর রহমান একটি করে উইকেট লাভ করেন।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম: মোহাম্মদ মিঠুন (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শামসুর রহমান শুভ, জিয়াউর রহমান, নাহিদুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, রকিবুল হাসান।
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী: আরাফাত সানি, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, নুরুল হাসান সোহান, সানজামুল ইসলাম, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, রেজাউর রহমান রাজা, আনিসুল ইসলাম ইমন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।