আগামী বছরের শুরুতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। বর্তমানে ৫ দলীয় বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টই খেলছে বাংলাদেশের সকল ক্রিকেটাররা। করোনা ভাইরাসের কারণে ৯ মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থেকে বাইরে বাংলাদেশ দল। তবে আর বসে থাকতে হবে না টাইগারদের।
জানুয়ারি থেকে টানা ব্যস্ত সূচি রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য। আগামী ১২ মাসে ১০ টি আন্তর্জাতিক সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। তাই ব্যস্ত এই সুচির জন্য ১২জন ফাস্ট বোলারকে বিবেচনায় রেখেছেন নির্বাচকরা।
দীর্ঘদিন পর বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপের মধ্য দিয়ে ক্রিকেটে ফেরার ক্রিকেটাররা। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলছে বাংলাদেশের প্রায় ৯০ জন ক্রিকেটার। আগামী সিরিজগুলো জন্য বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের দিকে বিশেষ নজর রাখছে নির্বাচকরা।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘পেস বোলারদের নিয়ে আমরা ভালো একটা প্ল্যান করেছি। আমরা চাচ্ছি তিন ফরম্যাটে যেন ১২জন পেসারের ইউনিট তৈরি করতে পারি। এটা মোটামুটি গুছিয়ে এনেছি”।
“সব জায়গার জন্য ভালো একটা পেস বোলিং ইউনিট যেন প্রস্তুত করতে পারি। এই টুর্নামেন্টগুলোতে দেখছি এই ১২ জন পেসারের মোটামুটি স্ট্যাবিলিট আছে। আশা করছি তারা সুস্থ থাকলে আমাদের জন্য বড় পাওয়া হবে।’
জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে দুটি টেস্ট এবং তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। এই সিরিজের জন্য স্কোয়াড চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। এই মাসের শেষের দিকে ঘোষণা করা হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড।
গণমাধ্যমকে নান্নু জানান, ‘টেস্ট ম্যাচের জন্য আমরা ২০ জনের দল দিব, ওয়ানডের জন্য ২১ জনের। এটা আমরা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি। কোচ, টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে বসে ঠিক করে ফেলেছি। এই টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই দিয়ে দিব। জানুয়ারির একদম প্রথম দিকেই অনুশীলন শুরু হবে। সে হিসেবেই আমরা এগোচ্ছি।’