বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ব্যাট এবং বল দুই বিভাগেই চমৎকার করেছেন জাতীয় দলের তরুণ অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান। দলের জয়ের সবচেয়ে বড় অবদান ছিল তার। প্রথমে ব্যাট হাতে ব্যাটিং তান্ডব এরপর পরে দলের প্রয়োজনে বল হাতেও দুর্দান্ত করেছেন তিনি।
প্রথমে ব্যাট হাতে মাত্র ৩১ বলে তিন টিচার এবং চারটি ছক্কা সাহায্যে টুর্নামেন্টের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন মেহেদী হাসান। এরপর বল হাতে শেষ ওভারে নাটকীয় জয় তুলে দেন তিনি। শেষ ওভারে এসে বোলিং কারিশমা দেখিয়েছেন মেহেদী হাসান।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ঢাকার প্রয়োজন ছিল ৯ রানের। শেষ ওভারের প্রথম তিন বল ডট দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন মেহেদি। তবে চতুর্থ বলে চার মেরে দেন মুক্তার।সমীকরণ যখন ২ বলে ৫ রান, তখন আবার পঞ্চম বলটি হয় নো।
বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে রিপ্লে দেখে সেটিকে নো বল কল করেন থার্ড আম্পায়ার। ফলে সমীকরণ নেমে আসে ২ বলে ৪ রানে। কিন্তু এটি নিতে পারেননি আগের ওভারে তিন ছক্কা হাঁকানো মুক্তার। পঞ্চম বল ডট খেলার পর শেষ বলে ১ রান নেন তিনি। জাদুকরী শেষ ওভারে দলকে ২ রানে জেতান মেহেদি।
দুর্দান্ত এই জয় তুলে নিয়ে দারুণ খুশি মেহেদী হাসান। তার এবং অধিনায়ক এর বিশ্বাস ছিল এই ম্যাচে জয়লাভ করবে তারা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আজকের ম্যাচের ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হওয়া ক্রিকেটার মেহেদী হাসান বলেন,
‘প্রথমত আমার অনেক বিশ্বাস ছিল, দ্বিতীয়ত অধিনায়কেরও বিশ্বাস ছিল। সেই বিশ্বাস থেকে আমাকে বল দিয়েছেন। দলের সবাই বিশ্বাস করছিল। আমি যা করতে চেয়েছি তাই আরকি হয়ে গেছে। ডেলিভারিগুলো প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়েছে।’
প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নেওয়ায় দারুণ খুশি তিনি। দলের জয়ের অবদান রাখতে পেরে ভাল লাগছে মেহেদী হাসানের, ‘ভালোভাবে টুর্নামেন্টটা শুরু হল। আজকে তো প্রথম ম্যাচ ছিল। প্রত্যাশা অনুযায়ীই শুরু হয়েছে। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হলে সবসময়ই অসাধারণ লাগে।
“আমার ক্ষেত্রেও তাই। ব্যাটিং-বোলিং দুটিতেই দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। পরের ম্যাচের পরিকল্পনা সেই ম্যাচের আগের দিন জানতে পারব। পরিকল্পনা অনুযায়ী না খেললে ভালো করা সম্ভব না। অবশ্যই পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে হবে।’