বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে নাটকীয় ভাবে ২ রানে জয়লাভ করেছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই দিন টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে রাজশাহীর দুই ওপেনার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং আনিসুল ইমন।
দলীয় ৩১ রানের মাথায় টুর্নামেন্টের প্রথম উইকেট তুলে নেন নাসুম আহমেদ। রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে ১৭ রানে আউট করেন নাসুম আহমেদ। ১৬ বলে দুটি ছক্কার সাহায্যে ১৭ রান করে তানজিদ হাসান তামিম-এর হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন নাজমুল। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে স্থায়ী হতে পারেননি রনি তালুকদার।
দলীয় ৪৮ রানের মাথায় মুক্তার আলীর বলে রুবেল হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রনি তালুকদার। ৭ বলে একটি চারের সাহায্যে ৬ রান করে আউট হন তিনি। এরপর দলীয় ৬৫ রানের মাথায় পরপর তিনটি উইকেট হারায় রাজশাহী। দীর্ঘদিন পর সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি মোহাম্মদ আশরাফুল।
দলীয় ৬৫ রানের মাথায় ৬ বলে ৫ রান করে নাঈম শেখের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তার উইকেট তুলে নেন মুক্তার আলী। এরপর ০ রানে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফজলে রাব্বী।
দুর্দান্ত খেলতে থাকা আনিসুল ইমনের উইকেট তুলে নেন নাঈম হাসান। ২৩ বলে ৫টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ৩২ রান করে নাঈম হাসানের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আনিসুল ইমন। তবে এর পরে ঘুরে দাঁড়ায় রাজশাহী। মেহেদি হাসান এবং কাজী নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটিংয়ে বড় স্কোরের পথে হাঁটে রাজশাহী।
মাত্র ৩১ বলে তিন টিচার এবং চারটি ছক্কা সাহায্যে টুর্নামেন্টের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন মেহেদী হাসান। তবে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পরের বলেই মেহেদি হাসান রানা বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মেহেদী হাসান। ১ রান পরেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ব্যাটসম্যান কাজী নুরুল হাসান সোহান।
২০ বলে ২ টিচার এবং তিনটি ছক্কার সাহায্যে ৩৯ রান করে মুক্তার আলীর বলে আউট হন কাজী নুরুল হাসান সোহান। তবে এই দুইজনের আউটের পর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। মুক্তার আলী ২২ রানে নেন ৩ উইকেট।
১৭০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৯ রানের মাথায় তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় ঢাকা। ১১ বলে ২ টি চার এবং ১ টি ছক্কায় ১৮ রান করে রান আউট হয় তামিম। ৮ বলে ৯ রান করে আউট হন ইয়াসির আলী। ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তোলেন নাইম শেখ।
দলীয় ৫৫ রানের মাথায় ১৭ বলে ২ চারর এবং ২ ছক্কার ২৬ রান করে আরাফাত সানির বলে আউট হন নাইম শেখ। তবে এরপর ৭১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন মুশফিকুর রহিম এবং আকবর আলী। দলীয় ১২৬ রানের মাথায় ২৯ বলে ৪ টি চার এবং ১ টি ছক্কায় ৩৪ রানে ফরহাদ রেজার বলে আউট হন আকবর আলী।
তবে এর পরেই মুশফিকুর রহিমকে আউট করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে রাজশাহী। ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমকে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ফাস্ট বোলার। ৩৪ বলে ৩টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ৪১ রান করে এবাদত হোসেনের বলে আউট হন মুশফিকুর রহিম।
শেষের দিকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান মুক্তার আলী। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ঢাকার প্রয়োজন ছিল ৯ রান। তবে শেষ ওভারে এসে বোলিং কারিশমা দেখিয়েছেন মেহেদী হাসান। ফ্রি হিট পেয়েও শেষ ২ বলে ৪ রান নিতে পারেননি মুক্তার আলী।
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী একাদশ: মোহাম্মদ আশরাফুল, ফরহাদ রেজা, আরাফাত সানি, নুরুল হাসান সোহান, ফজলে রাব্বি, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), শেখ মেহেদি, এবাদত হোসেন, মুগ্ধ, আনিসুল ইমন।
বেক্সিমকো ঢাকা একাদশ : মুশফিকুর রহীম (অধিনায়ক), নাইম শেখ, তানজিদ হাসান তামিম, রুবেল হোসেন, নাসুম আহমেক, আকবর আলী, ইয়াসির রাব্বি, সাব্বির হোসেন, মেহেদি রানা, মুক্তার আলি, নাইম হাসান।