পূর্ণশক্তিতে দল নিয়ে জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি

সর্বশেষ গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। এরপর আর আন্তর্জাতিক ম্যাচে নামা হয়নি টাইগারদের। স্থগিত হয়েছে অনেকগুলি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। যদিও শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে মাঠে নামার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটিও স্থগিত হয়ে যায়।

তবে বসে নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সফলভাবে বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপ আয়োজনের পর আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টের পরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে টাইগাররা। যা নিশ্চিত করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি রিকি স্কেরিট।

আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে এবং দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় ক্রিকেট দলের। এই সিরিজকে সামনে রেখেডিসেম্বরে ঢাকায় আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধি দল। বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপ চলাকালীন বিসিবির কোভিড প্রটোকল পর্যবেক্ষণ করবে তারা।

তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পরিবর্তে এই সিরিজ অনুষ্ঠিত হতে পারে দুটি টেস্ট ম্যাচে। বাংলাদেশের একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি রিকি স্কেরিট বলেন, ‘তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজকে কমিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে পরিণত করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো বিষয়টা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। সমস্যা হচ্ছে, ব্যাপারটাকে আমরা নানা অ্যাঙ্গেল থেকে দেখছি”।

“যেমন- কোভিড-১৯, সূচি, খরচ, এমন অনেক কিছুই। গত কয়েক মাসে কোভিড-১৯ বিশ্ব ক্রিকেটের রাজস্ব আয়কে একেবারে শূন্যের কোটায় নামিয়ে এনেছিল। আমরা বাংলাদেশে আসতে চাই, কারণ আমরা সম্পর্কটাকে সম্মান করি। আবার আমাদের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তিও রয়েছে”।

জানুয়ারিতে বাংলাদেশের পূর্ণশক্তির দল নিয়ে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় ক্রিকেট দল। বর্তমান সময়ে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে অনেক সুসম্পর্ক রয়েছে। এছাড়াও এই দেশকে অনেক চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি, “সেরা দলটাই তারা পাঠাবেন। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে চাই যে, যারা অ্যাভেইলেবল থাকবে, তাদের মধ্য থেকে সেরা দলটাইকেই পাঠাবো”।





“শুধু বাংলাদেশেই নয়, যে কোনো সফরেই আমরা সেরা দলটিকে পাঠানোর চেষ্টা করি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ সফর সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। কারণ, সেখানকার আবহাওয়া এবং পরিবেশ। আমাদের আবহাওয়া এবং পরিবেশের সম্পূর্ণ বিপরীত। তবে, আমরা সব সময়ই বাংলাদেশে ভালো খেলে থাকি। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে আমাদের খেলোয়াড়রাও ভালোবাসে।’