ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

পূর্বাচলে নির্মাণ করা হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ৫০ হাজার দর্শক ধারন ক্ষমতাসম্পন্ন এই স্টেডিয়ামে ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গ্রাউন্ডস কমিটি। ৩৮ একর জমিতে তৈরি হবে পূর্নাঙ্গ ক্রিকেট কমপ্লেক্স।

যেখানে থাকবে আধুনিক মানের সকল সুযোগ-সুবিধা। সরকারের কাছ থেকে জায়গা বুঝে পাওয়ার পর করোনা ভাইরাসের কারণে মাঠ তৈরির কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে বসে নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ইতিমধ্যেই এই স্টেডিয়ামের নকশা প্রস্তুত করেছে বিসিবি।

ইতিমধ্যেই স্টেডিয়াম-এর খেলা শুরু করার জন্য আউটফিল্ডের কাজ শেষের পথে। কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে উইকেটের নির্মাণের কাজ। এরপর থেকেই বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণি এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব হবে এই স্টেডিয়ামে।

বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির ম্যানেজার সৈয়দ আব্দুল বাতেন দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙা সংবাদকে বলেন, ‘এটি হবে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বিশ্বের সকল দেশের মত উন্নত মানের স্টেডিয়াম গড়ার লক্ষ্যে মাননীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে মাঠ যেহেতু খালি পড়ে আছে এবং আমাদের মাঠের যেহেতু স্বল্পতা,

তাই বয়সভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলো পরিচালনার জন্য আমরা পূর্বাচলের শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামকে বেছে নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের দুইটি সেন্টার উইকেটের কাজও শেষ হওয়ার পথে।’





জানুয়ারিতে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলে এই স্টেডিয়ামে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণীর খেলা আয়োজন করতে চায় বিসিবি। ‘জানুয়ারির দিকে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হলে আমরা ১ম,২য় এবং ৩য় শ্রেণীর খেলাগুলো পরিচালনার জন্য পূর্বাচল মাঠকে ভালোভাবে ব্যবহার করবো। সেখানকার পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এবং অফিস কাঠামোর কাজও শেষের দিকে। আশা করছি জানুয়ারি থেকেই আমরা খেলা শুরু করতে পারবো।’