২০১৮ সালে দেশের মাটিতে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন নাসির হোসেন। বাংলাদেশের জার্সিতে একটা সময় তিন ফরম্যাটেই নাসির হোসেন ছিলেন অপরিহার্য। দারুণ সব ম্যাচ জেতানো এই ‘ম্যাচ ফিনিশার’ সময়ের পরিক্রমায় দীর্ঘদিন ধরেই দলের বাইরে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট ছিলেন নাসির হোসেন।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে একাধিক দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন হারিয়ে গেছেন নাসির হোসেন। উন্নতির পরিবর্তে এতটাই অবনতি হয়েছে যে এখন দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট লীগে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না তিনি। সবশেষ বিপ টেস্টে পাশ করতে পারেননি নাসির, স্কোর ৮.৫।
যা দেখে নাসির এর উপর ক্ষেপে গিয়ে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। এত কম স্কোর করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে নাসির হোসেনকে। অবশেষে নিজের এই দূর্দশার কথা নিজেই জানালেন নাসির।
অনলাইন শপিং দারাজের ১১.১১ ফেসবুক লাইভ আড্ডায় উপস্থাপক রাফসান শাবাবের সাথে অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার নাসির হোসন। এই অনুষ্ঠানেই নাসির হোসেন নিজের ফিটনেস প্রসঙ্গে কথা বলেছেন।
“আসলে আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে এত সরব নই। আমি জিম করি, ব্যাটিং করি এসব ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামে দিই না। অনেকে দেয়, কিন্তু আমি দিই না। আমি ভালোভাবেই অনুশীলন করেছি রংপুরে। ঢাকায় এসে অনুশীলন শুরু করার পর ইনজুরিতে পড়ে যাই।
ইনজুরিতে পড়ায় আমি ফিজিও এবং ব্যক্তিগত ট্রেনারের সাথে কথা বলি। তারা সবাই আমাকে বিপ টেস্ট দিতে নিষেধ করেছেন। আমাকে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণেও নিষেধাজ্ঞা দেন।’
নাসির বলেন, ‘আমি টুর্নামেন্ট খেলার পরিস্থিতিতে ছিলাম না। আমি নিজের ইচ্ছায়ই বিপ টেস্ট দিই। আমার নিজের ফিটনেসের অবস্থা যাচাই করার জন্যই আমি বিপ টেস্টে অংশ নিই। আমার পুরো ক্যারিয়ারে এতো কম বিপ টেস্ট আমি কখনোই দিইনি।’
নাসির আরো বলেন, ‘সবাই জানে আমি কেমন ফিট থাকি বা ছিলাম। এত কম হবার কথা না আমার। সেই সময় আমার পায়ে ব্যথা শুরু হয় এবং থেমে যাই। মাথায় একটা জিনিসই ঘুরপাক খাচ্ছিল, এই ২০ দিনের খেলার চেয়ে ৬ বছরের ক্যারিয়ার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি ২০ দিনের এই টুর্নামেন্ট স্যাকরিফাইস করে ৬ বছর খেলতে চাই।’