ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন জুনিয়র তামিম। মিরপুরে পরপর তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচেই তিনটি হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম।

বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাথে সুযোগ পেয়েছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ বিজয়ী ওপেনার ব্যাটসম্যান তানজিদ হাসান তামিম। ছোটবেলার আইডল তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং করতে নেমে এমন একটি ভালো করতে পারছিলেন না জুনিয়র তামিম।

কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে সময় নিলেন না তানজিদ হাসান তামিম। বাংলাদেশ এইচপি ক্রিকেট দলের হয়ে পরপর তিন ম্যাচে তিনটি হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে ফরম্যাটে হওয়া একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেছেন ৭৪ রানের ইনিংস।

এরপর এরপর টি-টোয়েন্টিতে টানা দুই ম্যাচেও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন তিনি। প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ৭৩ রান এবং আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ষ ৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দিয়েছেন জুনিয়র তামিম খ্যাত এই ক্রিকেটার।

তার ব্যাটে ভর করেই মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এইচপি দলের প্রস্তুতি ক্যাম্পে আফিফ হোসেনের দলকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে তৌহিদ হৃদয়ের টিম-বি। আজ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি প্রস্তুতি ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮০ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় ‘এ’ দল।

ওপেনিংয়ে নামা নাঈম শেখ ও শাহাদাত হোসেন ৮১ রানের জুটি গড়েন। অবশ্যই তাদের কেউই হাফসেঞ্চুরির দেখা পাননি। নাঈম শেখ ৩৬ বলে খেলেছেন ৪৬ রানের ইনিংস।

যার ইনিংসে ছিল ৩ চার ও ২ ছক্কা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে যুব বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের ব্যাট থেকে। ২৭ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় শাহাদাত ৪২ রানের ইনিংসটি সাজান।





মিডল অর্ডারে নামা শামীম হোসেনের ১৪ বলে করা ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখে শেষ দিকে। এছাড়া মৃত্যুঞ্জয় ১৯ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেছেন।

টিম ‘বি’র হয়ে ৪ ওভারে ৩০ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নেন রেজাউর রহমান। তৌহিদ হৃদয়ও ১৩ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। এছাড়া মুকিদুল এবং রিশাদ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

১৮১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা শুরুটা দুর্দান্ত করে বি দলের দুই ওপেনার ব্যাটসম্যান তানজিদ হাসান তামিম এবং পারভেজ হোসেন ইমন। এক প্রকারের টর্নেডো ইনিংস খেলেন এই দুই ওপেনার।

দলীয় ৫৪ রানের মাথায় শাহাদাতের বলে ১৩ বলে ৪০ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে বিদায় নিলে পরে চড়াও হন তামিম। দ্বিতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গড়েন ৮৩ রানের জুটি।

এই জুটিই মূলত জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছে। আগের দুই ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি পাওয়া তামিম ৫১ বলে ৬৬ রান করে থেমেছেন। তার ইনিংসে ছিল ৪ চার ও ৩ ছক্কার মার। অন্যদিকে মাহমুদুল ২৬ বলে করেছেন ৩৪ রান।

শেষ পর্যন্ত ১৮.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টিম ‘বি’। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবরের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ১৫ রান।

টিম ‘এ’র পক্ষে সুমন খান ৪১ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। আর ১টি করে উইকেট পেয়েছেন আফিফ হোসেন ও নোমান।





সংক্ষিপ্ত স্কোর:
টিম ‘এ’: ২০ ওভারে ১৮০/৮ (নাঈম ৪৬, শাহাদাত ৪২, শামীম ৩৪, মৃত্যঞ্জয় ২৩; রেজাউর ২/৩০, তৌহিদ ২/১৩, রিশাদ হোসেন ১/২৯, মাকিদুল ১/৩৫)
টিম ‘বি’: ১৮.৫ ওভারে ১৮১/৪ (তানজিদ তামিম ৬৬, পারভেজ ৪০, মাহমুদুল ৩৪, আকবর ১৫*; সুমন খান ২/৪১, আফিফ ১/৩৭, নোমান ১/১১)।
ফল: টিম ‘বি’ ৬ উইকেটে জয়ী।