বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে গতকাল থেকে মিরপুরের শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট। প্রথম দিনে ফিটনেস টেস্ট-এ পাস করেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল থেকে দীর্ঘদিন ধরে বাইরে থাকা দুই ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস এবং মোহাম্মদ আশরাফুল।
ফিটনেস টেস্ট-এ পাশ করার পর তাদেরকে প্রশংসা ভাসিয়েছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেট ভক্তরা। কিন্তু আজ দেখা গেল উল্টো চিত্র। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পুলে থাকা ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল দেখে অবাক হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
সেইসাথে ফেল করা ক্রিকেটারদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। আজ মিরপুরে ফিটনেস টেস্ট দিয়েছে নাসির হোসেন এবং সোহাগ গাজী। আর ফিটনেস টেস্ট-এ পাস করতে পারেননি এই দুই ক্রিকেটার।
ফিটনেস টেস্ট-এ পাশ মার্ক ছিল ১১। সেখানে নাসির হোসেনের স্কোর ৮ এবং সোহাগ গাজীর স্কোর ৯। ফিটনেস টেস্ট-এ পাস না করার কারণে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে পারবেন না এই দুই ক্রিকেটার।
আজ সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এই দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে ক্ষোভ ছেড়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। নাসির হোসেনকে নিয়ে তিনি বলেন, “ফিটনেস টেস্টে পাশ মার্ক ১১, সেখানে নাসিরের স্কোর ৮। যারা ফিটনেস টেস্টে পাস করতে পারেননি তাদের আর কোনো রকম সুযোগ দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।”
“ওর (নাসিরের) তো খুব খারাপ অবস্থা। ও খেলতে পারবে না। ৮ তো আমিই টেস্ট দিলে পাব। যারা ফেল করছে তাদের আর কোনো পরীক্ষা নেয়া হবে না। ফিটনেস টেস্টে পাশ করতে হলেও অনুশীলন করতে হয়। আপনি এসেই তো আর পাশ করতে পারবেন না তাই না?
“আব্দুর রাজ্জাক, শাহরিয়ার নাফিস ভালো করেছে। এতেও ওর (নাসিরের) শিক্ষা হয়নি? তাই বলে মাত্র ৮! নিক লিও দেখে হাসছে। লজ্জাজনক। একজন জাতীয় পর্যায়ের প্লেয়ার, প্রথম শ্রেণির চুক্তিভুক্ত প্লেয়ার, তার ফিটনেস লেভেল হলো ৮!’
নাসির ছাড়াও পাস করতে পারেননি সোহাগ গাজী। ফিটনেস টেস্টে যারা পাশ করতে পারেননি তাদেরকে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নান্নু। তিনি বলেন, “সোহাগ গাজীর কথাই ধরুন না, ওর ফিটনেস লেভেল ৯। যারা ফেল করেছে ওদের নিয়ে আর নতুন করে ভাবার কিছু নেই। দুই বছর হল ওদের নিয়ে দৌঁড়াচ্ছি। আর সম্ভব না।
“নিজের ফিটনেস নিজের কাছে। এটা কী আমি আপনি করে দিতে পারব? আপনি যতদিন ফিট থাকবেন খেলবেন, না হলে খলবেন না। আমার মনে হচ্ছে নাসিরের ক্রিকেট খেলার ইচ্ছেই নাই। আমাকে নিক লিও একই কথা বলেছে যে, ওর তো খেলার ইচ্ছাই নাই। সোহাগ গাজীরও একই অবস্থা।”