বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপে অনেকটাই ধারাবাহিকভাবে বল করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ। পুরো টুর্ণামেন্টে জুড়ে দুর্দান্ত গতিতে বোলিং এর পাশাপাশি ৭ উইকেটে লাভ করেছেন তিনি। এর আগে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচেও দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন তাসকিন আহমেদ।
কিন্তু গত ২-৩ বছর মনে হচ্ছিল কোথায় যেন হারিয়ে গেছেন তাসকিন আহমেদ। নাজমুল হোসেন, নাসির হোসেনের মতো হয়তো তাসকিন ও হারিয়ে যাবে। কিন্তু নিজেকে পুরোদমে পাল্টে ফেলেছেন তাসকিন আহমেদ। লকডাউনের আগে থেকেই ফিটনেস নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি।
আর সে জন্য নিজস্ব বডিবিল্ডার নিয়োগ দিয়েছিলেন তিনি। তবে এরপর লকডাউন এর সময়টাকে আরো বেশি কাজে লাগিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। তাসকিন আহমেদের যখন অভিষেক হয় তখন তার ধারাবাহিক বোলিংয়ে গতি ছিল ১৪০+ । কিন্তু গত কয়েক বছর তাসকিন আহমেদের পারফরম্যান্স এতটাই বাজে ছিল যে মাঝে ১৩০-১৩২ গতিতে ও বোলিং করতে কষ্ট হতো তার।
তবে বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপে দেখিয়েছেন গতিতে ঝলক। স্পিডমিটার না থাকলেও ব্যাটসম্যানদের ধারণা ১৪০+ কিলোমিটার বেগে বোলিং করেছেন তাসকিন। তবে এখানেই থেমে থাকতে চান না তাসকিন আহমেদ। নিজের পুরনো গতিকেও ছাড়িয়ে যেতে চান তিনি।
২০১৬ সালের মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ ১৪৮ কিলোমিটার বেগে বোলিং করেছেন তাসকিন। তবে এবার সেটিকে ছাড়িয়ে ১৫০ কিলোমিটারে উঠাতে চান তাসকিন আহমেদ। এটি তাসকিন আহমেদের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন এখন। সেই সাথে হতে চান বিশ্বমানের ফাস্ট বোলার।
সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ফাস্ট বোলারের তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘মাঝখানে তো গতি ১৩০-১৩২ হয়ে গিয়েছিল। মনে আছে? গত বিপিএলে। ফিটনেস খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এবার বড় ভাই যাঁরা ব্যাটিং করেছেন (বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে), তাঁদের জিজ্ঞেস করেছিলাম। স্পিড গান তো আর ছিল না। তবে খেলে তাঁদের মনে হয়েছে আমি ১৪০ পেরিয়েছি।’
এর আগে সর্বোচ্চ ১৪৮ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করেছেন তাসকিন আহমেদ। নিজের সেই পুরনো স্মৃতি মনে করে দিয়ে তাসকিন আহমেদ জানিয়েছেন এবার তিনি বোলিং করতে চান ১৫০ কিলোমিটার গতিতে। তবে গতি বাড়াতে এখনো অনেক কাজ বাকি জানিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
এ সময় তাসকিন আহমেদ আরো বলেন ‘সর্বোচ্চ গতি আমি তুলেছিলাম ১৪৮ কিলোমিটার। মিরপুরেই ২০১৬-র এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে। আমার স্বপ্ন ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করা। আমার স্ট্রেন্থ এবং স্কিল চার ভাগের এক-দেড় ভাগ হয়েছে। আরো আড়াই ভাগ উন্নতি করতে হবে।
তা করতে পারলে আমার স্বপ্নও পূরণ হবে আর আমি বিশ্বমানের ফাস্ট বোলারও হতে পারব।’ সে জন্য নিজেকে এই নিয়মেই বেঁধে ফেলতে চান, ‘আমি ঘরে ঢোকার সময় সব শক্তি যেন ট্রেনিংয়েই ব্যয় করে আসি। কেউ যেন এই অভিযোগ করতে না পারে যে, ও খাটে না। ওর মধ্যে শৃঙ্খলা নেই।’ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী নভেম্বরে পাশ ধরে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের দেখা যাবে তাসকিন আহমেদ।