মাহমুদুল্লাহ একাদশকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে একপ্রকার নিশ্চিত করে ফেলেছে নজমুল একাদশ

মাহমুদুল্লাহ একাদশের বিপক্ষে ১৩১ রানের বড় জয় তুলে নিয়ে ফাইনাল একপ্রকার নিশ্চিত করে ফেলেছে নাজমুল একাদশ। নাজমুল একাদশের দেওয়া ২৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩২ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান সংগ্রহ করে মাহমুদুল্লাহ একাদশ। ‌
বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপ ওয়ানডে সিরিজে আজকের ম্যাচে নাজমুল একাদশের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সৌম্য সরকার এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট তুলে নেন ফাস্ট বোলার রুবেল হোসেন।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সৌম্য সরকার। ‌এরপর দলীয় ২৭ রানের মাথায় ৩ রান করে রুবেল হোসেনের বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ৩১ রানের মাথায় ১৯ রান করে আউট হন পারভেজ ইমন। সুমন খানের বলে আউট হন তিনি।

তবে এইদিনও দারুন খেলছেন মুশফিকুর রহিম। আফিফ হোসেন এবং মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় নাজমুল একাদশ। ৬ চারের সাহায্যে এই টুর্নামেন্টের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আরো বিধ্বংসী রূপে খেলতে থাকেন আফিফ হোসেন।

তবে দলীয় ১৭৮ রানের মাথায় রান আউট হন আফিফ হোসেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেঞ্চুরি মিস করেছেন আফিফ হোসেন। ভুল বোঝাবুঝির কারণে ৯৮ রান আউট হয়েছেন তিনি। ১০৮ বলে ১২ টিচার এবং একটি ছক্কা সাহায্যে ৯৮ রান করে রান আউট হয়েছেন আফিফ হোসেন।

আফিফ হোসেনের আউটের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। কিছুটা টেস্ট মেজাজে খেলে ৫২ রান করে এবাদত হোসেনের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তবে শেষের দিকে বাকি কাজটা করে দেন তৌহিদ হৃদয় এবং ইরফান শুক্কুর।

২৯ বলে ২ টিচারের সাহায্যে ২৭ রান করে ইবাদত হোসেনের বলে আউট হন তৌহিদ হৃদয়। তবে শেষের দিকে এক প্রকার ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়েছে ইরফান শুক্কুর। অপর প্রান্তে ৩০ বলে ৪টি চার এবং ২ ছক্কা সাহায্যে ৪৮ রান করেন ইরফান শুক্কুর। রুবেল হোসেন ৩ টি এবাদত হোসেন ২টি এবং সুমন খান একটি উইকেট লাভ করেন।

নাজমুল একাদশের দেওয়া ২৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ইমরুল কায়েসের উইকেট হারায় মাহমুদুল্লাহ একাদশ। ফাস্ট বোলার আলামিন হোসেনের বলে ব্যক্তিগত ৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ইমরুল কায়েস।

এর পরেই বল হাতে জ্বলে ওঠেন নাসুম আহমেদ। দলীয় ৭৮ রানের মধ্যে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (১০ বলে ১১ রান) মমিনুল হক (৩২ বলে ১৩ রান) এবং মাহমুদুল হাসানের (২৮ বলে ১৩ রান) উইকেট তুলে নেন নাসুম আহমেদ। এই দিনেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাব্বির রহমান। দলীয় ৯৭ রানের মাথায় আবু জাহেদ চৌধুরী বাহির বলে ১০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাব্বির রহমান।

নুরুল হাসান সোহান এর সাথে ব্যাটিংয়ে নেমে কিছুটা আশার আলো দেখান মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু তিনিও আবু জায়েদ রাহির বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ব্যক্তিগত ১৬ রান করে। পরের ওভারেই আরো একটি উইকেট এনে দেন রিশাদ হাসান। রকিবুল হাসানকে০ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরান এই লেগ স্পিনার।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৩ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৬ রান সংগ্রহ করেছে মাহমুদুল্লাহ একাদশ। নুরুল হাসান ১০ এবং সাব্বির রহমান ১০ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।

মাহমুদউল্লাহ একাদশ : মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক সৌরভ, মাহমুদুল হাসান জয়, নুরুল হাসান সোহান, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, রাকিবুল হাসান, সুমন খান ও রুবেল হোসেন, এবাদত হোসেন চৌধুরী (সুপার সাব)।

নাজমুল একাদশ : সৌম্য সরকার, পারভেজ হোসেন ইমন, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), তৌহিদ হৃদয়, ইরফান শুক্কুর, আফিফ হোসেন ধ্রুব, তাসকিন আহমেদ, আল-আমিন হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, নাসুম আহমেদ, রিশাদ হোসেন।