মিরপুরে বিধ্বংসী বোলিং করছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। সেই ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের সেই মুস্তাফিজ। প্রেসিডেন্ট কাপ ওয়ানডে সিরিজের আজ তৃতীয় ম্যাচে তামিম একাদশের দেওয়া ২২২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে নাজমুল একাদশ।
দলীয় ১৪ রানের মধ্যেই ওপেনার নাঈম শেখ এবং অধিনায়ক নাজমুল হাসানের উইকেট হারায় নাজমুল একাদশ। এই দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪৭ বল মোকাবেলা করেও উইকেটে সেট হতে পারেনি সৌম্য সরকার। ৯ রান করা সৌম্যকে আউট করেন সাইফুদ্দিন।
আফিফ হোসেনকে সাথে নিয়ে ছোট একটি পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন মুশফিকুর রহিম। আবারও জোড়া উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। দলীয় ৬৪ রানের মাথায় ১৫ রান করা আফিফ এবং ৭৪ রানের মাথায় ৪ রান করা তৌহিদ হৃদয়ের উইকেট তুলে নেন শরিফুল ইসলাম। তবে অন্য প্রান্ত থেকে একাই লড়াই করছেন মুশফিকুর রহিম। ৬০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিকুর রহিম।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩১ ওভারে ৫ উইকেটে ৯১ রান সংগ্রহ করেছে নাজমুল একাদশ।
প্রেসিডেন্ট কাপ ওয়ানডে সিরিজে আজ তৃতীয় ম্যাচে মিরপুর শেরে-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিং তান্ডব চালিয়েছে অলরাউন্ডার মাহাদি হাসান। তার ৮২ রানের সুবাদে ২২১ রান করে তামিম একাদশ। নাজমুল একাদশের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় তামিম একাদশ। ৮ রান করা তানজিদ হাসান তামিমকে প্যাভিলিয়নের ফেরান ফাস্ট বোলার আল-আমিন হোসেন।
এরপর উড়ন্ত সূচনা করেন আনামুল হক বিজয় এবং তামিম ইকবাল। ভালো শুরু করেও বেশিদূর যেতে পারেননি আনামুল হক বিজয়। দলীয় ৪৪ রানের মাথায় ১২ রান করে তাসকিন আহমেদের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আনামুল হক বিজয়। প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন।
২১ বলে ৪ রান করে নাঈম হাসান এর বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। ভালো শুরু করেও প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলীয় ৬৫ রানের মাথায় ৩৩ রান করে নাঈম হাসান এর বলে আউট হন তামিম ইকবাল। এরপর ৪০ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন শাহাদত এবং মোসাদ্দেক হোসেন।
দলীয় ১০৫ রানের মাথায় ১২ রান করে মোসাদ্দেক হোসেন আউট হলে ছন্দ হারায় তামিম একাদশ। মোসাদ্দেকের উইকেটটি তুলে নেন রিশাদ হোসেন। ৩ রান পরেই জোড়া উইকেট তুলে নেন আল-আমিন হোসেন। ২ রান করা আকবর আলী এবং ৩ রান করা সাইফুদ্দিনকে বোল্ড করেন আল-আমিন হোসেন।
তবে এরপরে মেহেদী হাসানের দারুন ব্যাটিংয়ে শেষে দিকে ঘুরে দাড়ায় তামিম একাদশ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন তাইজুল ইসলাম। শেষের দিকে টি-টুয়েন্টি স্টাইলে খেলতে থাকেন মাহাদী। আউট হওয়ার আগে ৯ টি চার এবং ৩ টি ছক্কায় ৫৭ বলে ৮২ রান করেন মাহাদী হাসান।
নাজমুল (শান্ত) একাদশ : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার (সহ অধিনায়ক), মোহাম্মদ সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), তৌহিদ হৃদয়, ইরফান শুক্কুর, তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেন, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, মোহাম্মদ নাইম হাসান ও রিশাদ আহমেদ।
তামিম একাদশ : তামিম ইকবাল খান (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, এনামুল হক বিজয়, মোহাম্মদ মিঠুন, শাহাদাত হোসেন দিপু, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান, তাইজুল ইসলাম, মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, আকবর আলি (উইকেটরক্ষক) ও মুস্তাফিজুর রহমান।