মিরপুরে ব্যাট হাতে ঝলক দেখাচ্ছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মমিনুল হক। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে আজ দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালো করতে পারেনি রায়ান একাদশ। শুরুতেই জোড়া উইকেট তুলে নেন এবাদত হোসেন এবং একটি উইকেট তুলে নেন হাসান মাহমুদ।
ইয়াসির আলী রাব্বি ২ রান এবং সাদমান ইসলাম করেন ১৩ রান।এই দুইজনের উইকেট তুলে নেন ফাস্ট বোলার এবাদত হোসেন। এরপর দ্রুতই ফিরে যান মুশফিকুর রহিম। ৩ রান করে তরুণ ফাস্ট বলা হাসান মাহমুদের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তবে ব্যাট হাতে নেমে হাল ধরেছেন অধিনায়ক মমিনুল হক এবং মোহাম্মদ মিঠুন।
ইতিমধ্যে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ব্যাট করছেন মমিনুল হক। ৫১ রান করে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া মিঠুন অপরাজিত ৩০ রানে। দলীয় সংগ্রহ ৩৫ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১০১ রান।
শেষ খবর পাওয়া ৩৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০১ রান সংগ্রহ করেছে রায়ান কুক একাদশ।
এর আগে গতকাল রায়ান কুক একাদশের বিপক্ষে ২৩০ রানে অলআউট হয়েছে ওটিস গিবসন একাদশ। শুরুতেই ইমরুল কায়েসের উইকেট হারালেও নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সাইফ হাসানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ওটিস গিবসন একাদশ। দিনের তৃতীয় ওভারেই তাসকিন আহমেদের বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ইমরুল কায়েস। তিনি ১ চারের মারে ১২ বলে করেছেন ৭ রান।
নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সাইফ হাসানের পার্টনারশিপ ভাঙেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। দলীয় ১১২ রানের মাথায় সাইফ হাসানের উইকেট তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। এরপর দুর্দান্ত খেলতে থাকা অধিনায়ক শান্তর উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ।
ডানহাতি ওপেনার সাইফ হাসান ৮৬ বলে ৬৪ রান করে আউট হয়েছেন। হাঁকিয়েছেন ৯ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা। অধিনায়ক শান্ত আউট হওয়ার আগে ৪ চার ও ১ ছয়ের মারে করেছেন ৬৮ বলে ৪২ রান। দ্রুতই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাসের উইকেট তুলে নেন খালেদ আহমেদ।
৭ রান করে আউট হন লিটন দাস। এরপর সৌম্য সরকারকে সাথে নিয়ে জুটি গড়ে তোলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৩৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে অন্য প্রান্ত থেকে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য সরকার। ৫১ রান করে সাইফউদ্দিনের বলে মিড অফে ক্যাচ দেন মুশফিকুর রহিমের হাতে। তার বিদায়ের পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকেনি গিবসন একাদশের ইনিংস।
পরপর দুই বলে মোসাদ্দেক ও মুস্তাফিজকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান তাইজুল ইসলাম। মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। রায়ান কুক একাদশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম। দুটি শিকার মোহাম্মদ মিঠুনের, একটি করে নেন খালেদ আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের।
ওটিস গিবসন একাদশ : মোহাম্মদ সাইফ হাসান, ইমরুল কায়েস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক) মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাঈম হাসান, হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান এবং রুবেল হোসেন
রায়ান কুক একাদশ : ইয়াসির আলী, সাদমান ইসলাম, মমিনুল হক (অধিনায়ক) মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, নুরুল হাসান সোহান, মহাম্মদ সাইফুদ্দিন, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মোহাম্মদ আল-আমিন হোসেন।